লিভারপুলের রাস্তায় দাঁড়িয়ে লিভারপুলের জয় দেখা
ওভাল স্টেডিয়াম থেকে বাসে করে ইস্ট লন্ডনে আসতে লিভারপুল স্ট্রিটে নামতে হয়েছে গত দুদিনই। প্রথম দিন লিভারপুল স্ট্রিট সুনসান লাগলেও কাল সন্ধ্যায় এ সড়কের চেহারাটা দেখাল অন্য রকম। বিকেল থেকেই স্ট্রিটের বার-পাবে ‘ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই’ অবস্থা।
সবার হাতে পানীয়, মনোযোগী চোখ টিভির পর্দায়—বেশির ভাগই লিভারপুল–সমর্থক। চারদিকে কেমন এক উৎসবমুখর পরিবেশ। শনিবারের রাতে এমনিই জমজমাট থাকে পাবগুলো। কাল উপলক্ষটা আরও বড়। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালটা এবার যে ‘অল ইংলিশ’। প্রিয় দলকে সমর্থন দিতে মাদ্রিদে আর কজন ইংলিশ সমর্থক যেতে পেরেছেন, পাব-বার কিংবা বড় পর্দায় বেশির ভাগ দর্শক উপভোগ করেছেন খেলা। লিভারপুল স্ট্রিটে অবশ্য বড় পর্দার আয়োজন ছিল না। সমর্থকেরা খেলা উপভোগ করেছেন পাবের বড় টেলিভিশনেই। সালাহ আর ওরিগির গোলে অল রেডরা যখন শিরোপা জয়ের আনন্দে ভেসেছে মাদ্রিদে, সেই উচ্ছ্বাসের ঢেউ এসে পড়েছে লন্ডনেও। লিভারপুল স্ট্রিট যেন পরিণত হয়েছে উৎসবের সড়কে।
‘ইয়েস মেট, ইয়েস! আফটার ফোরটিন ইয়ারস...’ বলেই একে অপরকে হাই ফাইভ দিচ্ছেন, জড়িয়ে ধরছেন। গানের তালে নেচে উঠছেন—এভাবেই কাল রাতে লন্ডনের লিভারপুল স্ট্রিটে ষষ্ঠ শিরোপা জয় উদ্যাপন করলেন লিভারপুল–সমর্থকেরা।
আনন্দের আতিশয্যে কী বিচিত্র কাণ্ডই না ঘটতে দেখা গেল! যে পাবের সামনে খেলা দেখছিলেন, সেটির সামনেই অনায়াসে মূত্রত্যাগের কাজটি সারছেন তরুণেরা। ‘** গার্ড ইজ কামিং’— বলেই একজনকে কাজ অর্ধসমাপ্ত রেখেই দিতে হলো দৌড়! আরেকজন অবশ্য সাফল্যের সঙ্গে কাজটা সারলেন। মাত্রাতিরিক্ত তরলের ভারে যে চাপে পড়েছিলেন, সেটি থেকে মুক্তি পেতে এ অভিনব উপায় কেন বেছে নেওয়া? ‘এটাও উদ্যাপনের অংশ! লিভারপুল জিতেছে, আজ আমাদের রাত’—মাঠে জিতেছেন, ত্যাগের কাজেও জিতেছেন, বিজয়ের হাসি লিভারপুল সমর্থকের মুখে!
দল জিতেছে, পান একটু বেশি হয়ে গেছে। নাচের তালে গান গাইতে গাইতে কাছে এসে ভদ্রলোক আহ্বান জানালেন, ‘আমাদের সঙ্গে সুর মেলাও, ওলে...ওলে...উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন!’
ঠিক, এ রাতটা লিভারপুলের। তাদের সুরেই সুর মিলিয়ে গাইতে হলো বিজয়ের গান।