লাল বলেও চোখ আমিনুলের
২০ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশ দল এখনো ভরসা করার মতো লেগ স্পিনার পায়নি। মাঝে জুবায়ের হোসেন এসেছিলেন। কিন্তু যেভাবে চমক দিয়ে এসেছিলেন, সেভাবে হারিয়েও গেলেন! গত সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ দলে আরেকজন লেগ স্পিনারের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে, তিনি আমিনুল ইসলাম। তবে ২০ বছর বয়সী লেগ স্পিনারের বিচরণ এখন পর্যন্ত সাদা বলেই। আমিনুল স্বপ্ন দেখেন, সুযোগ হবে তাঁর লাল বলেও।
গত সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়া আমিনুল খেলেছেন ৭টি টি-টোয়েন্টি। প্রাপ্তি ১০ উইকেট, পরিসংখ্যান খুব একটা মলিন বলা যায় না। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে নিয়মিতই সুযোগ পাচ্ছেন স্কোয়াডে। কিন্তু টেস্ট দলে সুযোগ পেতে তাঁকে হাঁটতে হবে অনেক দূর। শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট দলে যে জায়গা হচ্ছে না, সেটি আমিনুলও বোঝেন। তবে স্বপ্ন দেখতে তো আর বাধা নেই। আমিনুলের লক্ষ্য টেস্ট দলেও সুযোগ পাওয়া, ‘প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই লক্ষ্য থাকে লাল বলের ক্রিকেটে খেলা। আমারও সেটা আছে। যদি কখনো সুযোগ হয় নিজের সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করব।’
চার মাসের করোনা বিরতিতে বোলিং নিয়ে কাজ করার সুযোগ হয়নি আমিনুলের। এ সময় নিজের বোলিংয়ের পুরোনো ভিডিও দেখেই সময় কেটেছে বেশি। বোঝার চেষ্টা করেছেন কোথায় ঘাটতি আছে, কোথায় আরও উন্নতি করতে হবে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরুর পর সে জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করছেন বলে জানালেন আমিনুল, ‘লেগ স্পিন দিয়েই অনুশীলন শুরু করেছি। ধীরে ধীরে গুগলি, ফ্লিপার এগুলো নিয়ে কাজ করেছি।’
শুরুতে খালি স্টাম্পে বোলিং করেছেন আমিনুল। গত দুই সপ্তাহে নেটে ব্যাটসম্যানদেরও বোলিং করার সুযোগ হয়েছে। গত কদিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে তরুণ লেগ স্পিনার বলছিলেন,‘ব্যাটসম্যান ছাড়া বোলিং করলে নিজের ব্যাপারে জানা যায় না। কিন্তু সামনে একজন ব্যাটসম্যান থাকলে, তাদের বিপক্ষে বল করলে নিজের শক্তি বা দুর্বলতার জায়গাটা বোঝা যায়। ব্যাটসম্যানদের বোলিং করতে পেরে ভালো তাই লাগছে। প্রথম দিকে মানিয়ে নিতে সবারই কষ্ট হয়েছে। ধীরে ধীরে যখন কদিন অনুশীলন করেছি, সবাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি।’