লাখো বছরেও যা পাবেন না ভেবেছিলেন, সেটাই পেতে যাচ্ছেন অ্যান্ডারসন
নিউজিল্যান্ড সিরিজে প্রথম টেস্টের একাদশে থাকলেই হলো। অসাধারণ এক অর্জন হয়ে যাবে জেমস অ্যান্ডারসনের। ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার রেকর্ডে অ্যালিস্টার কুকের পাশে বসে যাবেন ইংলিশ পেসার। অ্যান্ডারসনের কাছে ঘনিষ্ঠ বন্ধু কুকের কীর্তি ছোঁয়াটা হবে অবিশ্বাস্য ও দারুণ গর্বের।
কুক ইংল্যান্ড দলে খেলেছেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে। কিন্তু ৩৮ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন একজন ফাস্ট বোলার। টেস্টে ফাস্ট বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড অ্যান্ডারসনেরই। ৬১৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলা বিশেষজ্ঞ ফাস্ট বোলারও তিনি।
এই গ্রীষ্মে নিউজিল্যান্ডের পর ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ খেলবে ভারতের বিপক্ষেও। সব মিলিয়ে ৭টি টেস্ট। করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়ে একাদশ সাজাতে পালাক্রম নীতি নেওয়া ইংল্যান্ডের হয়ে সব কটি টেস্টই খেলতে চান অ্যান্ডারসন। তাঁর এই ইচ্ছা পূরণ হলে শচীন টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং ও স্টিভ ওয়াহর পর চতুর্থ সর্বোচ্চ টেস্ট খেলা ক্রিকেটার হয়ে যাবেন। ২০০ টেস্ট খেলে শচীন টেন্ডুলকার আছেন তালিকার সবার ওপরে। এরপর অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং ও স্টিভ ওয়াহ। দুজনই খেলেছেন ১৬৮টি করে টেস্ট।
তবে একজন ফাস্ট বোলার হিসেবে এতগুলো টেস্ট খেলতে পারাটা সত্যিই অসাধারণ ব্যাপার। সব মিলিয়ে অ্যান্ডারসন নিজেও পুলকিত, ‘এটা আমাকে গর্বিত করে। আমি ভাবতেও পারিনি লাখো বছরেও আমার এমন একটা অর্জন থাকবে।’ অ্যান্ডারসন এরপর যোগ করেছেন, ‘নিশ্চিত করেই একজন বোলারের পক্ষে এতগুলো ম্যাচ খেলা...কী বলব বুঝতে পারছি না...আমার কাছে এটা অবিশ্বাস্য লাগছে। কারণ, এত ম্যাচ আমি খেলতে পারব বলে ভাবিইনি।’
বয়স ৩৮ বছর হয়ে গেলেও অ্যান্ডারসন খেলে যাচ্ছেন একই ছন্দে। ক্লান্তির কোনো ছাপ নেই তাঁর খেলায়। বিষয়টি নিয়ে ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার বলেছেন, ‘বয়সের ছাপ আমার শরীর-মনে নেই। আমার ক্লান্তিও নেই।’ এমন অক্লান্তভাবে খেলে যেতে পারার রহস্যটাও জানিয়েছেন অ্যান্ডারসন, ‘আমি আসলে টেস্ট ক্রিকেট ভালোবাসি। এটার জন্য বাড়তি টান অনুভব করি। আমি সব সময়ই চেয়েছি বড় হয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলব। লম্বা সময় ধরে এটা করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান ও গর্বিত মনে করছি।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ড প্রথম টেস্টটি খেলবে লর্ডসে। এখানে কুকের রেকর্ড ছুঁতে পারাটা অ্যান্ডারসনের জন্য হবে বিশেষ এক ব্যাপার। কারণ, ১৮ বছর আগে এই লর্ডসেই যে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তাঁর। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। এখানে রেকর্ড ছুঁতে পারলে রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাবে তাঁকে, ‘লর্ডসে খেলা, যেখানে আমি প্রথম খেলেছি ২০০৩ সালে...এই মাঠের মতো এমন আবহ আপনি আর কোথাও পাবেন না।’
টেস্টে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডের পাশাপাশি একটি মাইলফলকের হাতছানি আছে অ্যান্ডারসনের। আর ৮টি উইকেট পেলেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০০০ উইকেট হয়ে যাবে তাঁর। ২০০৫ সালে অ্যান্ড্রু ক্যাডিকের পরপর এই মাইলফলকে পৌঁছানো প্রথম ফাস্ট বোলার হবেন অ্যান্ডারসন।