লাইফ সাপোর্টের দরকার হচ্ছে না কেয়ার্নসের
ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন ক্রিস কেয়ার্নস। ১০ দিন আগে জানা গিয়েছিল, মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক এ অলরাউন্ডার।
হৃদ্যন্ত্রের জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। আজ কেয়ার্নসের ভক্তদের কিছুটা দুশ্চিন্তামুক্ত করলেন তাঁর পারিবারিক মুখপাত্র।
তিনি জানান, কেয়ার্নসের শরীর থেকে লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে।
খেলোয়াড়ি জীবনে অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে বিবেচিত হওয়া কেয়ার্নসকে এ মাসের শুরুতে সিডনির সেন্ট ভিনসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। হৃদ্যন্ত্রের রোগ নিয়ে বিশেষায়িত আইসিইউ বিভাগে তাঁকে রাখা হয়।
তখন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, কেয়ার্নসের হৃদ্যন্ত্রের মহাধমনিতে গুরুতর সমস্যা ধরা পড়েছে। ৫১ বছর বয়সী সাবেক এ ক্রিকেটারকে ক্যানবেরা থেকে সিডনিতে স্থানান্তর করা হয়।
কেয়ার্নসের আইনজীবী অ্যারন লয়েড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, ‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ক্রিসের শরীর থেকে লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে। তিনি এখন পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন। সবার সমর্থন এবং সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।’ টেস্টে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩৩ গড়ে ৩ হাজার ৩২০ রান করেছেন কেয়ার্নস। উইকেট নিয়েছেন ২১৮টি। সেঞ্চুরি করেছেন ৫টি ও ২২ ফিফটি।
ওয়ানডেতে বেশি কার্যকর ছিলেন তিনি। ২০১ উইকেট নিয়েছেন এ সংস্করণে। ২০০০ সালে উইজডেনের বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন তিনি। স্ত্রী মেল ও সন্তানদের নিয়ে গত কয়েক বছর ক্যানবেরায় বসবাস করছিলেন কেয়ার্নস।
হাসপাতালের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, কেয়ার্নসের শারীরিক অবস্থা ‘মারাত্মক থেকে স্থিতিশীল পর্যায়ে এসেছে।’ ১৯৮৯ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৬২ টেস্ট খেলেছেন কেয়ার্নস।
বোলিংয়ে ২৯.৪ এবং ব্যাটিংয়ে ৩৩.৫৩ গড় ছিল তাঁর। তখন তাঁর ৮৭ ছক্কা মারা ছিল রেকর্ড। তবে অবসর নেওয়ার পর মাঠের বাইরের জীবনে বিতর্কিত হয়েছেন কেয়ার্নস। ম্যাচ পাতানো বিতর্কে জেরবার হয়েছেন। কেয়ানর্স বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। আদালতে এ নিয়ে মামলাও চলেছে। তবে তাঁকে দোষী প্রমাণ করা যায়নি। কেয়ার্নস পরে অভিযোগ করেছিলেন, এসব বিতর্কে তাঁর ইমেজ ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে।
অনলাইনে খেলাধুলার প্রতিষ্ঠান স্মার্ট স্পোর্টৎজের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করছিলেন কেয়ার্নস। ২০১৫ সালে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ থেকে মুক্তির পর জীবনটা নতুন করে গড়ছিলেন তিনি। তখন জানিয়েছিলেন, এই অভিযোগে তাঁর সুনাম ‘পুরো ক্ষতিগ্রস্ত’ হয় এবং জীবনটা ‘নরক’ হয়ে গিয়েছিল। ভারতের বিদ্রোহী ক্রিকেট লিগ আইসিএলেও অংশ নিয়েছিলেন কেয়ার্নস।