রোহিতই বেঁধে দিয়েছেন ভারতের সুর
চ্যালেঞ্জের মুখে ইনিংস উদ্বোধনে নেমে রোহিত শর্মার চাপ কেমন ছিল, তা অনুমান করে নেওয়াই যায়। কিন্তু চাপ-টাপ সব ফুৎকারে উড়িয়েই দিলেন রোহিত।
ভারতের শুধু জিতলেই হতো না, বড় ব্যবধানেই জিততে হতো। আবুধাবিতে আজ টস হেরে আগে যখন ব্যাটিংয়ে নামতে হলো, ঝড়ই তুলতে হতো ভারতের টপ অর্ডারকে। এমনই তাড়া ছিল যে, বিরাট কোহলি ব্যাটিংয়েই নামলেন না!
এমন চ্যালেঞ্জের মুখে ইনিংস উদ্বোধনে নেমে রোহিত শর্মার চাপ কেমন ছিল, তা অনুমান করে নেওয়াই যায়। কিন্তু চাপ-টাপ সব ফুৎকারে উড়িয়েই দিলেন রোহিত। উদ্বোধনী জুটিতে লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ৮৮ বলে এনে দিলেন ১৪০ রান। তাতে রোহিতের অবদান, ৪৭ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৪ রান।
শেষ পর্যন্ত ভারত যে ২০ ওভারে ২১০ রানের পাহাড়ে চড়েছে, আফগানিস্তানকে ৬৬ রানে হারিয়েছে, সে তো রোহিতের গড়ে দেওয়া ভিত্তির সৌজন্যেই। এমন একটা জয়ের পর রোহিত ছাড়া আর কাউকে ম্যাচসেরা হিসেবে ঘোষণা করা হয়তো অন্যায্যই হতো।
উদ্বোধনী জুটিতে রোহিতের সঙ্গী রাহুলও দারুণ খেলেছেন, ৪৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় করেছেন ৬৯ রান। কিন্তু স্ট্রাইক রেটে বলুন, আর চার-ছক্কায় আফগান বোলারের আত্মবিশ্বাস নাড়িয়ে দেওয়া... রোহিত সবই করেছেন অনায়াসে। ম্যাচের সুরটাও বেঁধে দিয়েছেন সেখানেই।
কিন্তু রোহিত নিজের কৃতিত্ব আর দাবি করলে তো! ম্যাচ শেষে নিজেদের জুটি নিয়ে বললেন, ‘আমরা ভালো একটা শুরু এনে দিতে চেয়েছিলাম, যেটা আগের দুই ম্যাচে হয়নি। রাহুল অসাধারণ ব্যাটিং করেছে।’
ভারত যে আজ শুরু থেকে বড় ব্যবধানে জয়ের জন্যই ঝাঁপিয়েছে, সেটাও পরিষ্কার হলো রোহিতের কথায়, ‘একটা ভালো শুরু, ভালো একটা রান পাওয়া দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জানতাম রানরেট একটা বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে, আমরা তাই বড় ব্যবধানেই জিততে চেয়েছি। ভালো লাগছে যে সেটা করতে পেরেছি।’
আর তাঁর নিজের ব্যাটিং? সে নিয়ে রোহিতের কথা, ‘দল যা চাইবে, আমি তা-ই করার চেষ্টা করব। আজ দলের দ্রুত শুরু দরকার ছিল। সাধারণত আমি দেখেশুনে শুরু করি, কিন্তু আজ একটু ভিন্নভাবে খেলতে হয়েছে।’
ভিন্নভাবেও খারাপ খেলেননি রোহিত!