রুটকে সরে যেতে বলছেন বয়কট
ক্রিকেট যেহেতু অনিশ্চয়তার খেলা, তাই অ্যাশেজের পরের দুই টেস্টে কী হবে, সেটা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী না করাই ভালো। অস্ট্রেলিয়ানরা নিশ্চিতভাবেই চাইছে নিজেদের মাঠে ইংল্যান্ডকে এবারের অ্যাশেজে ধবলধোলাই করতে। সেটা হবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এখন পর্যন্ত সিরিজের গতিপ্রকৃতি যেমন, অস্ট্রেলিয়ানদের আশা পূরণ হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
বিশেষ করে বক্সিং ডে টেস্টে ইংলিশরা যেভাবে আত্মসমর্পণ করেছে, পরের দুই টেস্টে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখার মতো লোকের সংখ্যা খুব বেশি নেই। মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৮ রানে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। সোয়া দুই দিনের মধ্যে তারা ম্যাচ হেরেছে ইনিংস ও ১৪ রানে। এরপর তো ইংল্যান্ডের এই দলের খেলোয়াড়দের সামর্থ্য নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং বলেছেন, এর আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এর চেয়ে বাজে ইংল্যান্ড দল আর দেখেননি।
জো রুট-বেন স্টোটকসদের সমালোচনার তিরে বিদ্ধ করছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটাররাও। মাইকেল ভন ম্যাচের পরই টুইট করে লিখেছেন, মেলবোর্নে ইংল্যান্ড দলের কোনো কিছুই ঠিক ছিল না। কেউ কেউ দল নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এমন লজ্জাজনক পারফরম্যান্সের পর ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান জিওফ্রে বয়কট চাইছেন, অধিনায়কের পদ থেকে যাতে সরে দাঁড়ান রুট!
মেলবোর্নে ১৯০৪ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে বক্সিং ডে টেস্ট জিতে ৩-০-তে এগিয়ে থেকে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। বিষয়গুলো ঠিক যেন হজম করতে পারছেন না বয়কট। এখানে রুটের নেতৃত্বেও সমস্যা দেখছেন তিনি। ডেইলি টেলিগ্রাফে নিজের কলামে বয়কট লিখেছেন, ‘জোর নেতৃত্বে উদ্ভাবনী শক্তির অভাব আছে। তার দল নির্বাচন আর মাঠে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো মানসম্মত নয়।’
বয়কট এখানেই থামেননি। রুটের অধিনায়কত্ব নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘সিরিজ শেষে অবশ্যই প্রশ্ন ওঠা উচিত, অধিনায়ক বদল করলে ইংল্যান্ডের লাভ হবে কি না। আমরা জোকে খুব পছন্দ করি, ভালোবাসি। কিন্তু দল জিতলে যেহেতু অধিনায়ক বাহবা পান, তাহলে দল হারলেও তাকে দায় নিতে হবে, সমালোচনাও সইতে হবে।’
এবারের অ্যাশেজে একেকটি ম্যাচ হারার পর রুট সংবাদ সম্মেলনে এসে বলে গেছেন, এ ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নেবে ইংল্যান্ড। একই সঙ্গে তিনি আশা দেখিয়েছেন পরের ম্যাচে ভালো খেলার। কিন্তু সে রকম কিছু যে হয়নি, তা তো সবাই-ই দেখেছে। এটা নিয়েও কথা বলেছেন বয়কট, ‘ইংল্যান্ড বাজে দিন থেকে শিখবে, জোর এমন সাক্ষাৎকার শুনতে শুনতে আমরা অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। যথেষ্ট হয়েছে।’
বয়কট তাঁর লেখা শেষ করেছেন এভাবে, ‘আমরা যারা সাবেক খেলোয়াড় আছি আর সমর্থক যাঁরা আছেন; তাঁদের বোকা ভাবাটা বন্ধ করতে হবে। একটা বিষয় মেনে নিতে হবে, অ্যাশেজে আমরা শুধু হারিইনি, আমাদের একদম গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’