রাগের মাথায় ওসব বলেছিলেন বিসিবি সভাপতি
কাল মিরপুর টেস্ট হারার পর রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়, অধিনায়ক, কোচ থেকে শুরু করে নির্বাচকদেরও ধুয়ে দেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন অনেক অসামঞ্জস্য নিয়ে। কিন্তু মাত্র এক রাতের মধ্যেই সুর বদলে গেছে বিসিবি সভাপতির। আজ তিনি বললেন, কাল ম্যাচ শেষে নাকি রাগের মাথায়ই বলেছিলেন ওসব কথা।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আজ করোনার টিকা নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি। সেখানেই বলেছেন, ‘হেরে গেলে মেজাজ খারাপ হয়। আপনাদের খারাপ লাগে, আমারও খারাপ লাগে। কালকে ছিল রাগের কথা। আমাদের বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে। তবে আমাদের যে আরও উন্নতি করতে হবে, এ উপলব্ধিটা সবার মধ্যে আসতে হবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সের সমালোচনা আজও করেছেন নাজমুল হাসান। তবে গতকালের মতো আক্রমণাত্মক ভাষায় নয়। আজ তাঁর সুর ছিল অনেকটাই নরম।
১৮ জনের দলে ৫ জন পেসার নিয়েও চট্টগ্রাম, ঢাকা দুই টেস্টেই বাংলাদেশ দল খেলিয়েছে একজন করে পেসার। চট্টগ্রামে খেলেছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও ঢাকায় আবু জায়েদ। এ নিয়ে প্রশ্ন আছে বিসিবি সভাপতির। আজ তিনি আবারও বলেছেন, ‘আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। স্পিন ছাড়া খেলতে পারব না—এ চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’ সমস্যা সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথাও বলেছেন বোর্ড সভাপতি, ‘ব্যাটসম্যানদের শট সিলেকশন নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা যেভাবে আউট হয়েছি, এভাবে কেউ আউট হয় না। পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে।’
বিসিবি সভাপতির ইচ্ছা ছিল তিনি করোনার টিকা নেবেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে। কিন্তু মনে ভয়–আতঙ্ক থাকায় অনেক ক্রিকেটারই শুরুতে টিকা নিতে আগ্রহী ছিলেন না। পরে ক্রিকেটারদের টিকা নিতে উৎসাহী করতে জুম মিটিংয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় বিসিবি। সেখানে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান ক্রিকেটাররা। পরে বিশেষজ্ঞদের কথায় আশ্বস্ত হয়ে গতকাল থেকে টিকা নেওয়ার জন্য নাম তালিকাভুক্ত করতে শুরু করেন তাঁরা। বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফের সদস্যরা ১৮ ফেব্রুয়ারি টিকা নিয়ে নেবেন। তবে ক্রিকেটারদের কাউকে টিকা নিতে বাধ্য করবে না বিসিবি।