রঞ্জি ট্রফিতে 'হিন্দি ভাষা' নিয়ে বিতর্ক
হিন্দি ভারতের সরকারি ভাষা—এটা ভারতীয় সংবিধানেই স্বীকৃত। কিন্তু বিশাল ভারতে ভিন্ন ভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর ভাষা ভিন্ন। সেখানে সবাই সব জাতিগোষ্ঠীর ভাষাকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। হিন্দি সরকারি ভাষা হতে পারে, কিন্তু কোনোভাবেই সব ভারতীয় নাগরিকের মাতৃভাষা নয়। বহু ভাষার দেশ হওয়ায় হিন্দির পাশাপাশি ইংরেজিকেও সরকারি ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
তারপরেও যে বিতর্ক একেবারেই হয় না, সেটি নয়। প্রায়ই হিন্দিকে ভারতের ‘রাষ্ট্রভাষা’ হিসেবে উল্লেখ করে অনেকেই বিতর্ক তৈরি করেন। ক্রিকেটেও হিন্দি নিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) দুই টেলিভিশন ধারাভাষ্যকার। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে রঞ্জি ট্রফির কর্ণাটক ও বরোদা ম্যাচে হিন্দিকে ‘সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষা’ ‘ভারতীয়দের মাতৃভাষা’ ইত্যাদি উল্লেখ করলে এ বিতর্ক তৈরি হয়।
একটি ডট বলের বর্ণনা দিচ্ছিলেন ওই দুই ভাষ্যকার। অতীতে এই ডট বলকে হিন্দিতে ‘ভিন্ডি বল’ বলেছিলেন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। সেটির প্রশংসা করতে গিয়ে এক ভাষ্যকার বলেন, ‘প্রতিটি নাগরিকের হিন্দি ভাষা জানা উচিত। এটি আমাদের মাতৃভাষা, সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষা।’ তাঁর সহ ভাষ্যকার এ কথার সূত্র ধরে বলেন, ‘ভারতে থাকলে হিন্দি বলতেই হবে। এটা আমাদের মাতৃভাষা।’
দুই ভাষ্যকারের মন্তব্য এরপর থেকেই বিতর্কের ঝড় তোলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। সেখানে অনেকেই বলেন, সব ভারতীয়কে হিন্দি ভাষা শিখতে হবে—এমন কোনো আইন নেই। এটা সংবিধানেও বলা নেই। কেউ কেউ বিসিসিআইয়ের সমালোচনা করে বলেন, সবাইকে হিন্দি শিখতে বলে ধারাভাষ্যকারদের মাধ্যমে ভুল বার্তা দিচ্ছে বিসিসিআই।