যেভাবে মাসের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচন করে আইসিসি
বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটারদের তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। মে মাসের সেরা ক্রিকেটার হওয়ার নির্বাচনে মুশফিকের প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের হাসান আলী ও শ্রীলঙ্কার প্রভিন জয়াবিক্রমা।
প্রতি মাসে তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে একজন নারী ক্রিকেটারকেও সেরা হিসেবে বেছে নেয় আইসিসি। এবার নারী ক্রিকেটারদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন স্কটল্যান্ডের অলরাউন্ডার ক্যাথরিন ব্রিজ, আয়ারল্যান্ডের গ্যাবি লুইস ও লিয়া পল।
পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে প্রতি মাসের সংক্ষিপ্ত তালিকাটা আইসিসিই করে দেয়। সেই তালিকা থেকে দুই বিভাগের সেরা দুজন নির্বাচন করে আইসিসির স্বাধীন ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট–ভক্তরা।
ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর সাবেক ক্রিকেটার, অভিজ্ঞ সাংবাদিক, ধারাভাষ্যকার ও আইসিসি হল অব ফেমে জায়গা পাওয়া কিছু ক্রিকেটার আছেন আইসিসির ভোটিং একাডেমিতে। আছেন সহযোগী সদস্যদেশের দুজনও। খেলোয়াড় নির্বাচনে ভোটিং একাডেমির সদস্যদের ভোটের গুরুত্বই বেশি। ই–মেইলে ভোট দেন সদস্যরা।
চূড়ান্ত ভোটের হিসাবের ৯০ শতাংশই নেওয়া হয় ভোটিং একাডেমি থেকে। বাকি ১০ শতাংশের হিসাব আসে সমর্থকদের অনলাইন ভোট থেকে। একটু উদাহরণ দেওয়া যাক। ধরা যাক কোনো খেলোয়াড় ২৬ জনের ভোটিং একাডেমির সদস্যদের ১৩ জনের বা ৫০ শতাংশ ভোট পেলেন। সমর্থকদের অনলাইন ভোটে সেই খেলোয়াড় পেলেন ২৫ শতাংশ ভোট। চূড়ান্ত হিসেবে সেই খেলোয়াড়ের ভোট হবে ৪৭.৫ শতাংশ (৫০*৯০%+২৫*১০%)।
আবার ধরা যাক ভোটিং একাডেমির ২৫ শতাংশ ও সমর্থকদের ৭৫ ভাগ ভোট পেলেন একজন। চূড়ান্ত হিসাবে তাঁর ভোট হবে ৩০ শতাংশ। এভাবে হিসাব করেই প্রতি মাসের দ্বিতীয় সোমবার ঘোষণা করা হয় মাসের সেরা খেলোয়াড়ের নাম।
সেরা ক্রিকেটার নির্বাচনে ভোট দেওয়া যাবে এই ঠিকানায় icc-cricket.com/awards
আইসিসি ভোটিং একাডেমিতে বাংলাদেশ থেকেও আছেন দুজন নির্বাচক। দুজনই ক্রীড়া সাংবাদিক। ভিভিএস লক্ষ্মণ, জন রাইট, রমিজ রাজা, মাখায়া এনটিনি, রাসেল আরনল্ড, ইয়ান বিশপের মতো ক্রিকেটাররাও আছেন ভোটিং একাডেমিতে।