যেভাবে ফাইনাল খেলতে পারবে বাংলাদেশ
>টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা ভালোভাবেই আছে বাংলাদেশের। কাজটা করতে খুব কঠিন কোনো সমীকরণও মেলাতে হবে না। মাশরাফি বিন মুর্তজা যেমন এখনো ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছেন ভালোভাবেই। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিজের স্বপ্নের কথাটা জানিয়েছেন ভারত ম্যাচের পরই, ‘আমরা তো এখনো টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাইনি। একটা দিন সময় পাচ্ছি চিন্তাভাবনা করার। এখনো ফাইনাল খেলা সম্ভব। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কামব্যাক করার সুযোগ আছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে যদি জিততে পারি, পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচটা ফিফটি-ফিফটি হয়ে যাবে।’
টানা দুই ম্যাচে হার। শুধু হার বলেই নয়, হারের ধরনগুলোও প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। আফগানিস্তানের কাছে ১৩৬ রানে হারের পর ভারতের বিপক্ষে ১২৬ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে হেরে যাওয়া। এমন দুই হারের পর বাংলাদেশ দল নিয়ে আশার কথা বলা কঠিন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা ভালোভাবেই আছে বাংলাদেশের। এবং কাজটা করতে খুব কঠিন কোনো সমীকরণও মেলাতে হবে না।
মাশরাফি বিন মুর্তজা যেমন এখনো ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছেন ভালোভাবেই। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিজের স্বপ্নের কথাটা জানিয়েছেন ভারত ম্যাচের পরই, ‘আমরা তো এখনো টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাইনি। একটা দিন সময় পাচ্ছি চিন্তাভাবনা করার। এখনো ফাইনাল খেলা সম্ভব। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কামব্যাক করার সুযোগ আছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে যদি জিততে পারি, পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচটা ফিফটি-ফিফটি হয়ে যাবে।’
হ্যাঁ, আজকের ম্যাচটাই এ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের কথা অনেকটা বলে দেবে। আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পেলেই বাংলাদেশ ২৬ তারিখের ম্যাচ নিয়ে আশায় বুক বাঁধতে পারবে। এ ধরনের টুর্নামেন্টে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার সবচেয়ে মুখস্থ সমীকরণ হলো প্রথম ম্যাচে কোনো প্রতিপক্ষের কাছে হেরে গেলে সে দলের শুভকামনা করা। অর্থাৎ বাংলাদেশ যেহেতু এরই মাঝে ভারতের কাছে হেরে বসেছে, এখন বাংলাদেশকে আশা করতে হবে ভারত তাদের পরবর্তী ম্যাচগুলোতেও যেন জয় পায়। টানা তিন জয়ে সুপার ফোরের সেরা দল হিসেবে তখন ফাইনালে চলে যাবে।
বাংলাদেশ আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পাওয়ার পর পাকিস্তান ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হবে। ২৬ তারিখ বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ তখন অলিখিত সেমিফাইনালে পরিণত হবে। সে ম্যাচে জয় পেলেই তখন দ্বিতীয় সেরা হিসেবে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আর পাকিস্তান একমাত্র জয় নিয়ে নিয়ে তৃতীয় হয়ে সন্তুষ্ট হবে। এ সমীকরণে তিনটি হার নিয়ে সবার আগে বিদায় নেবে আফগানিস্তান। অর্থাৎ তখন পয়েন্ট টেবিলের চেহারা দাঁড়াবে—ভারত ৬, বাংলাদেশ ৪, পাকিস্তান ২ ও আফগানিস্তান ০।
এমনকি বাংলাদেশের কাছে হেরে আফগানিস্তান যদি ভারতকে হারিয়েও দেয়, তখনো বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হবে না। পাকিস্তানকে হারালেই ভারতকে সঙ্গী করে ফাইনালে যাবে বাংলাদেশ। তখন পয়েন্ট টেবিলের চেহারা দাঁড়াবে—ভারত ৪, বাংলাদেশ ৪, পাকিস্তান ২ ও আফগানিস্তান ২। আর যদি পাকিস্তান ভারতকে হারিয়ে দেয় এবং ভারত আফগানিস্তানের কাছে হেরে বসে, তখন ভারত নয়, পাকিস্তান হবে বাংলাদেশের সঙ্গী। তখন পয়েন্ট টেবিল—পাকিস্তান ৪, বাংলাদেশ ৪, ভারত ২ ও আফগানিস্তান ২।
কিন্তু আজ যদি বাংলাদেশ হেরে যায়, তখন ভারতের ম্যাচগুলো মহাগুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। তখন বাংলাদেশকে আশায় থাকতে হবে পাকিস্তান যেন কোনোভাবেই ভারতকে না হারায়। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এশিয়া কাপের স্বপ্ন আজই শেষ হয়ে যাবে। আর যদি ভারত জয় পায়, তবে বাংলাদেশের ফাইনাল স্বপ্ন ২৬ তারিখ পর্যন্ত লম্বা হবে। সে ক্ষেত্রে আফগানিস্তানকে ভারতের কাছে ২৫ তারিখ হারতে হবে এবং পাকিস্তানকে হারানোর কাজটা একটু ভালোভাবেই করতে হবে বাংলাদেশকে। কারণ, এ সমীকরণে ভারতের ৬ পয়েন্ট হলেও বাকি তিন দলেরই হবে ২ পয়েন্ট। আর এতে মুখোমুখি লড়াই ও শ্রেয়তর রানরেটের ব্যাপারটা আসবেই। প্রথম ম্যাচে ১২৬ বল বাকি থাকতেই হেরে বসায় বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে অনেক অনেক পিছিয়ে। তাই জয়ের অভ্যাসে ফিরতে চাইলে আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুরু করাটাই ভালো!