এক ম্যাচে হার তো পরের ম্যাচে জয়। বুধবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে হার-জিতের এই পর্যায়ক্রমিক ধারাটা ধরে রাখল দিল্লি ক্যাপিটালস। মুম্বাইয়ের ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে ছাড়াই খেলতে নামা দিল্লি জিতেছে ২১ রানে।
টস হেরে ব্যাটিং পাওয়া দিল্লি ডেভিড ওয়ার্নার ও রোভম্যান পাওয়েলের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে ৩ উইকেটে তোলে ২০৭ রান। রান তাড়ায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ পুরো ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেটে তুলতে পারে ১৮৬ রান। দলটির ইনিংসে আস্কিং রেটের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো ব্যাটিং করেছেন শুধু নিকোলাস পুরান। সাদা বলের ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নতুন অধিনায়ক ৩৪ বলে করেছেন ৬২ রান, মেরেছেন ২টি চার ও ৬টি ছক্কা। শেষ দিকে তাঁর ব্যাটিংয়েই নিবুনিবু করে হলেও টিকে ছিল হায়দরাবাদের আশার সলতে।
সপ্তম ওভারে ৩৭ রানে ৩ উইকেট খোয়ানোর পর চতুর্থ উইকেটে এইডেন মার্করামকে নিয়ে ৬০ রান যোগ করেন পুরান। দক্ষিণ আফ্রিকান মার্করাম ২৫ বলে করেছেন ৪২ রান।
হায়দরাবাদকে হারিয়ে সেরা চারে থেকে প্লে-অফ খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল দিল্লি। ১০ ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে ভারতের রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সমান ম্যাচে পঞ্চম হারের স্বাদ পাওয়া হায়দরাবাদের পয়েন্টও ১০। তবে নেট রানরেটের হিসাবে হায়দরাবাদিরা পঞ্চম স্থান থেকে নেমে গেছে ছয়ে।
শুধু মোস্তাফিজকেই নয়, দিল্লি কাল একাদশ থেকে বাদ দিয়েছে পৃথ্বী শ, অক্ষর প্যাটেল ও চেতন সাকারিয়াকেও। তাঁদের বদলে সুযোগ পেয়েছেন মনদীপ সিং, খলিল আহমেদ, রিপাল প্যাটেল ও আনরিখ নর্কিয়া।
ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নেমে ৫ বলে কোনো রান না করেই বিদায় নিয়েছেন মনদীপ। রিপালকে ব্যাটিং-বোলিং কিছুই করতে হয়নি। পেসার খলিল ৪ ওভারে ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার। দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার নর্কিয়া ৪ ওভারে ৩৫ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট।
এর আগে দিল্লির হয়ে এবারের আইপিএলে নিজের সেরা ইনিংসটি খেলার জন্য প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজের পুরোনো দল হায়দরাবাদকেই বেছে নিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। অস্ট্রেলীয় ওপেনার ৫৮ বলে ৯২ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
ওয়ার্নারের বর্ণাঢ্য আইপিএল ক্যারিয়ারের সাতটি মৌসুমই কেটেছে হায়দরাবাদে। কিন্তু গত মৌসুমে তাদের সুখের সংসারে ফাটল ধরে। দল পাল্টে ওয়ার্নার ফিরে যান আইপিএলে তাঁর প্রথম ঠিকানা দিল্লিতে। গতকালের ম্যাচের আগে স্বাভাবিকভাবেই সব আলোচনা ছিল ওয়ার্নার আর হায়দরাবাদকে ঘিরে।
আর এমন ম্যাচেই কিনা দিল্লির টপ অর্ডার ব্যর্থ, ত্রাতা হলেন ওয়ার্নার! ৩৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ওয়ার্নার একাই দিল্লিকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন। তাঁর ৫৮ বলের ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শেষের দিকে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ওয়ার্নারকে সঙ্গ দিয়েছেন রোভম্যান পাওয়েল। মাত্র ৩৫ বল খেলে ৩টি চার ও ৬টি ছক্কায় অপরাজিত ৬৭ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে।