সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহরা পারলেন না। কিন্তু মেহেদী হাসান একাই ৯২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে জেতালেন। মোহামেডানের ১৬৫ রানের জবাবে শেষ ওভারে এসে ৩ উইকেটে জিতেছে মাহমুদউল্লাহর গাজী। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগ-পর্বে এটি গাজীর প্রথম জয়।
সকালে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামা মোহামেডানের জন্য বড় সংগ্রহের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন পারভেজ হোসেন। তিনি ৩২ বলে ৪১ রান করেন। তবে মিডল অর্ডারে ব্যাটসম্যানরা তেমন কিছুই করতে পারেননি। শুভাগত হোম চৌধুরী শেষ দিকে ঝড় তুলে ৩১ বলে ৫৯ রান করলে স্কোরবোর্ডে ১৬৫ রান তুলতে পারে মোহামেডান।
তবে গাজী গ্রুপের রান তাড়াটা সহজ হয়নি। শুরুর দিকে ভালো কোনো জুটিই গড়তে পারেনি তারা। সৌম্য সরকার ১৭ বলে ২২ রান করে ফেরেন। শাহদাত হোসেন, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহরা কেউই দুই অঙ্কের ঘরে নিতে পারেননি নিজেদের রান। ইয়াসির আলী ১১ রানের বেশি করতে পারেননি। ব্যর্থ ছিলেন আরিফুল হকও। মোহামেডানের সেরা বোলার ছিলেন শুভাগত। তিনি তাঁর অফ স্পিনে ফেরান মুমিনুল আর সৌম্যকে।
এ অবস্থার মধ্যেও একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন শেখ মেহেদী হাসান। তবে ভাগ্যও ছিল তাঁর পক্ষে। ব্যক্তিগত ১৪ রানে শুভাগতর বলে সহজ স্টাম্পিং মিস করেন উইকেটকিপার ইরফান শুক্কুর। ৩৫ রানের সময় স্কয়ার লেগে তাঁর ক্যাচ ফেলেন পারভেজ। ভাগ্যের সহায়তাটা এরপর পুরোপুরি কাজে লাগান মেহেদী। ৩৮ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন।
শেষ ৫ ওভারে জেতার জন্য গাজীর দরকার ছিল ৫৩ রান। সেখান থেকে আবু জায়েদ, রুয়েল মিয়া ও ইয়াসিরের ওভারে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন মেহেদী। ১৮তম ওভারে জায়েদকে ৩টি বাউন্ডারি মারলে শেষ ২ ওভারে জিততে ২০ রান দরকার পড়ে গাজীর। রুয়েল মিয়ার করা ১৯তম ওভারে একটি চার ও একটি ছক্কায় মেহেদী শেষ ওভারে লক্ষ্যটা নামিয়ে আনেন ৫ রানে। কিন্তু প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে যান মেহেদী। আম্পায়ারের এ সিদ্ধান্তটা নিয়ে বিতর্ক আছে। ৫৮ বলে ১১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৯২ রান করে থামেন মেহেদী। তাঁর আউট অবশ্য গাজীর জয় ঠেকাতে পারেনি। ৩ বল হাতে রেখে দলের জয় নিশ্চিতের কাজটা করেন আকবর আলী (৯ বলে অপরাজিত ১১ রানে)।