মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন ক্রিস কেয়ার্নস
নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ক্রিস কেয়ার্নস মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ক্যানবেরায় গত সপ্তাহে হৃদ্যন্ত্রের জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন তিনি। ফক্স ক্রিকেটসহ এনজেড হেরাল্ড এবং বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কেয়ার্নসের হৃদ্যন্ত্রের মহাধমনিতে গুরুতর সমস্যা ধরা পড়েছে।
৫১ বছর বয়সী কেয়ার্নস অসুস্থ হওয়ার পর বেশ কয়েকবার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে তাঁর শরীরে। কিন্তু এতেও তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়নি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৬২ টেস্ট ও ২১৫ ওয়ানডে খেলা কেয়ার্নস ২০০০ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দারুণ এক সেঞ্চুরি করে জিতিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডকে। তিনি এখন পুরো লাইফ সাপোর্টে আছেন বলে জানিয়েছে ‘নিউজহাব’। তাঁকে সিডনির বিশেষজ্ঞ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
টেস্টে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩৩ গড়ে ৩৩২০ রান করেছেন কেয়ার্নস। উইকেট নিয়েছেন ২১৮টি। সেঞ্চুরি করেছেন ৫টি ও ২২ ফিফটি। ওয়ানডেতে বেশি কার্যকর ছিলেন সাবেক এ অলরাউন্ডার। ২০১ উইকেট নিয়েছেন এ সংস্করণে। ২০০০ সালে উইজডেনের বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন হয়েছিলেন কেয়ার্নস। স্ত্রী মেল ও সন্তানদের নিয়ে গত কয়েক বছর ক্যানবেরায় বসবাস করছিলেন তিনি।
অনলাইনে খেলাধুলার প্রতিষ্ঠান ‘স্মার্ট স্পোর্টৎজ’–এর প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ থেকে মুক্তির পর নিজের জীবনটা নতুন করে গড়ছিলেন কেয়ার্নস। তিনি তখন জানিয়েছিলেন, এই অভিযোগে তাঁর সুনাম ‘পুরো ক্ষতিগ্রস্ত’ হয় এবং জীবনটা ‘নরক’ হয়ে গিয়েছিল। ভারতের বিদ্রোহী ক্রিকেট লিগ আইসিএলে অংশ নিয়েছিলেন কেয়ার্নস।
২০১০ সালে আইপিএলের সাবেক প্রধান লোলিত মোদি কেয়ার্নসকে খেলোয়াড়দের নিলাম থেকে তুলে নেন। ‘অতীতে ম্যাচ পাতানো’র অভিযোগ তোলেন কেয়ার্নসের বিরুদ্ধে। কেয়ার্নসও মোদির বিরুদ্ধে সুনাম ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ তোলেন আদালতে। এখানেই শেষ নয়। নিউজিল্যান্ডের সাবেক দুই ক্রিকেটার লু ভিনসেন্ট ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম তাঁর বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর চেষ্টার অভিযোগও করেছিলেন। ২০১৫ সালে লন্ডনের ক্রাউন কোর্ট কেয়ার্নসকে নির্দোষ ঘোষণা করেন।