মুশফিক-তামিমদের দুঃস্বপ্নের সেই হামলার রায় আগস্টে
ভয়াবহ সেই হামলার স্মৃতি বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অনেকে ভুলতে পারেননি। গত বছর মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। নৃশংস সে হামলায় ৫১জন হত্যার দায় স্বীকার করেছিলেন হামলাকারী ব্রেন্টন টারান্ট। আগস্টে এ মামলার রায় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
২৪ আগস্ট থেকে শুরু হবে তিন দিনের আদালত কার্যক্রম। তাতে রায় দেওয়া হবে সেই সন্ত্রাসী হামলার। নিউজিল্যান্ড হাই কোর্টের বিচারক ক্যামেরন ম্যান্ডার কাল এই তারিখ ঘোষণা করেন। ভিডিও প্রযুক্তির সুবিধা থাকবে এই বিচার কার্যক্রমে। হামলার শিকার হওয়া কেউ চাইলে ভিডিওতে এই বিচার প্রক্রিয়া দেখতে পাবেন, অংশও নিতে পারবেন। অস্ট্রেলিয়ান অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, টারান্টের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
সেদিন হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছে একটি মসজিদে স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে হামলা চালান টারান্ট। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়েরা। লিটন দাস ও নাঈম হাসান ছাড়া দলের সবাই মাঠে অনুশীলনে ছিলেন। অনুশীলন শেষে তাঁরা ওই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে যান। মসজিদে প্রবেশের মুহূর্তে স্থানীয় একজন তাঁদের মসজিদে ঢুকতে নিষেধ করেন। জানান, এখানে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আতঙ্কিত খেলোয়াড়েরা তখন দৌড়ে হ্যাগলি ওভালে ফেরত আসেন। পরে তাদের হোটেলে নিয়ে আসা হয়।
মসজিদে যখন নির্বিচার গুলি চলছিল, বাংলাদেশ দলের বাস ছিল মসজিদের একেবারে কাছে। মাঠের সংবাদ সম্মেলন থেকে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর বের হতে কিছুটা দেরি না হলে হয়ে যেতে পারত বিরাট সর্বনাশ। সেদিন কোনোভাবে বেঁচে ফিরে অঝোরে কেঁদেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এমন ঘটনায় বাতিল হয়ে যায় ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট। সফর অসমাপ্ত রেখে বাংলাদেশ দল ফিরে আসে দেশে।