রোহিত শর্মাই মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। কিন্তু তাঁর মতো ব্যাটসম্যানের কাছে দলের যে প্রত্যাশা, আশা জাগালেও সেটি পুরোপুরি করে যেতে পারেননি। রোহিতের ব্যাট যেমন উচ্চস্বরে কথা বলে ওঠেনি, ঠিক তেমনি মুম্বাই ইন্ডিয়ানসও আইপিএলে হারের চক্র থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি। লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের কাছে তারা হেরেছে ৩৬ রানে।
লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের ১৬৯ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে রোহিতের ব্যাট দারুণ কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু ৩১ বলে ৩৯ রান করে তিনি আউট। লক্ষ্ণৌয়ের ইনিংসে যেমন লোকেশ রাহুল একাই গড়ে দিয়েছেন, রোহিত সেই কাজটি করতে পারেননি। এরপর তিলক বর্মা ( ২৭ বলে ৩৮) আর কাইরন পোলার্ড ২০ বলে ১৯ করে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সেটি যথেষ্ট ছিল না। ক্রুনাল পান্ডিয়া ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে মুম্বাইকে লড়াইয়ের সুযোগটুকুও দেননি। লক্ষ্ণৌকে এনে দিয়েছেন দারুণ এক জয়।
টসে জিতে লক্ষ্ণৌকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল মুম্বাই। ২৭ রানে তাদের প্রথম উইকেট ফেলে উল্লাসেও মেতেছিল। কিন্তু লক্ষ্ণৌয়ের ইনিংসের একপ্রান্ত ধরে খেলে আইপিএলে নিজের দ্বিতীয় শতকটি ঠিকই তুলে নেন লোকেশ রাহুল। ৬২ বলে ১০৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ছিল ১২টি বাউন্ডারি আর চারটি বিশাল ছক্কা। তবে রাহুল ছাড়া লক্ষ্ণৌয়ের বাকি ব্যাটসম্যানরা যে দুর্দান্ত খেলেছেন, এটা বলা যাবে না। তবে রাহুল যেভাবে খেলেছেন, তাতে বাকি ব্যাটসম্যানদের কাছে প্রত্যাশা ছিল কেবল তাঁকে ঠিকভাবে সঙ্গ দিয়ে যাওয়া। মনীষ পান্ডে ২২ বলে ২২, দীপক হুডার ০ বলে ১০ আর আইয়ুশ বাদোনির ১১ বলে ১৪ ছাড়া সেভাবে কারও নাম নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বলতে গেলে মুম্বাইয়ের বোলারদের সঙ্গে লড়াইটা একাই করেছেন রাহুল। নির্ধারিত ২০ ওভারে লক্ষ্ণৌয়ের রান ওঠে ৬ উইকেটে ১৬৯।
কাইরন পোলার্ড ভালো বোলিং করেছেন। ২ ওভার বোলিং করে ৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন রিলি মেরিডিথও। একটি করে উইকেট ড্যানিয়েল সামস, যশপ্রীত বুমরার।
১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল মুম্বাইয়ের। রোহিত শর্মা আর ইশান কিষান মিলে উদ্বোধনী জুটিতে ৬৯ রান তুলে ফেলেছিলেন। এর বেশিরভাগই ছিল রোহিতের রান। ইশান ফেরেন রবি বিষনইয়ের বলে জেসন হোল্ডারের ক্যাচ হয়ে। রোহিত ৩১ বলে ৩৯ রান করে আউট হন ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে বদলি ফিল্ডার কে গৌতমের ক্যাচ হয়ে। এরপর ডেওয়াল্ড ব্রেভিস সূর্যকুমার যাদবও দ্রুত ফিরলে মুম্বাই ব্যাকফুটে চলে যায়। এরপর তিলক বর্মা ও কাইরন পোলার্ড পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৩৯ বলে ৫৭ রান করে চেষ্টা করেছিলেন লড়াইয়ের। কিন্তু সেটি যথেষ্ট ছিল না। আসলে হারতে হারতে ক্লান্ত মুম্বাই ম্যাচটা হেরে বসে রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পরপরই।
এটি এবারের আইপিএলে লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের এটি পঞ্চম জয়। ৮ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান এখন পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে। আর মুম্বাই? ৮ ম্যাচের সবকটিতে হেরে এখনো পর্যন্ত পয়েন্টের খাতাই খুলতে পারেনি রোহিত শর্মার দল।