মুম্বাই জয়ে নিজেদেরই ছাপিয়ে গেলেন কোহলিরা
মুম্বাই টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত জিতেছে বিশাল ব্যবধানে। ৩৭২ রানের এ জয় চার ইনিংস হয়েছে, এমন টেস্টে রানের হিসাবে ভারতের বৃহত্তম জয়। কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের অধ্যায়টা শুরু হলো টেস্টে এক রেকর্ড জয়েই।
ইনিংস ব্যবধানে জয়ের হিসাব আলাদা, তবে দুই ইনিংস ব্যাট করতে হয়েছে, এমন ম্যাচে এর আগেও ভারত তিন শ বা এর চেয়ে বেশি রানের ব্যবধানে জিতেছে। সেটি ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে সে ম্যাচে ভারত জিতেছিল ৩৩৭ রানে। এত দিন প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সেই জয়ই ছিল রানের হিসাবে ভারতের সবচেয়ে বড় টেস্ট জয়।
আজ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিজের অর্জনকেও ছাড়িয়ে গেলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ২০১৫ সালে দিল্লির সেই টেস্টেও ভারতের অধিনায়ক ছিলেন কোহলি। আজ মুম্বাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৭২ রানের জয়েও অধিনায়ক তিনিই।
অথচ মুম্বাইয়ে টেস্টটা কিন্তু পুরোপুরিই নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেলের হওয়ার কথা ছিল। টেস্টের প্রথম দুই দিনেই ভারতের সব কটি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি একাই। জিম লেকার আর অনিল কুম্বলের পর ক্রিকেট ইতিহাসে কেবল তৃতীয় বোলার হিসেবে এজাজ টেস্টের এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে এজাজ ভারতকে ৩২৫ রানে আটকে দিলেও নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৬২ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এজাজের ১০ উইকেট-কীর্তির সর্বনাশটা হয়ে যায় এখানেই।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ২৭৬ রান তুলে মুম্বাই টেস্ট কিউইদের নাগালের বাইরেই নিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর জয়ন্ত যাদব নিজেদের মধ্যে ৮ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে গুটিয়ে দেন মাত্র ১৬৭ রানে। ৩৭২ রানের হারে এজাজ প্যাটেলের অনন্য কীর্তির উদ্যাপনটাকে এখন ম্রিয়মাণই লাগছে।
কানপুরে প্রথম টেস্টে ছিলেন না কোহলি। নিউজিল্যান্ডের প্রত্যয়ী ব্যাটিং সে টেস্টে ভারতকে জিততে দেয়নি। মুম্বাইয়ে ফিরেই দুর্দান্ত এক জয় পেলেন কোহলি। অনুভূতির প্রকাশে তাই তাঁর চোখে–মুখে-কণ্ঠে আনন্দ, ‘জয় দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরাটা দারুণ এক অনুভূতি। অধিনায়ক হিসেবে ফিরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, এমনটা কিন্তু অনেকবারই হয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে সব সময়ই চাই, কেউ না কেউ দাঁড়িয়ে যাক, আর এটা সব সময়ই হচ্ছে। প্রথম টেস্টেও আমরা ভালো করেছি, কিন্তু ম্যাচ শেষে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি, কোথায় খামতি ছিল। সে অনুযায়ী খেলেই আজকের এ সাফল্য।’