মিচেলের জবাব বেয়ারস্টো–ওভারটনে
৫৫ রানে ৬ উইকেট নেই। এখান থেকে ইংল্যান্ড কত দূর যেতে পারবে বলে ভেবেছিলেন কেউ! কে কী ভেবেছিলেন কে জানে, কিন্তু জনি বেয়ারস্টো আর জেমি ওভারটন যে সব ভাবনাকে ওলটপালট করে দিয়েছেন, সেটা বলাই যায়।
প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ৩২৯ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। সেখান থেকে তারা দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ওই ৬ উইকেটেই ২৬৪ রান নিয়ে। বেয়ারস্টো ১৩০ ও ওভারটন ৮৯ রানে উইকেটে আছেন। অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটিতে দুজন মিলে তুলেছেন ২০৯ রান।
ইনিংসের শুরুতে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের সুইংয়ের বিভ্রমে ফেলেছেন নিউজিল্যান্ডের তিন ফাস্ট বোলার ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি ও নিল ওয়াগনার। সেই বিভ্রমে পড়ে ৫৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বেন স্টোকসের দল। তবে পরিস্থিতি খুব ভালোভাবেই সামাল দেন জনি বেয়ারস্টো ও জেমি ওভারটন।
এর আগে ৫ উইকেটে ২২৫ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। মিচেল ব্যাটিংয়ে নামেন ৭৮ রান নিয়ে। মিচেল তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক তুলে নিলেও দলকে খুব বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি। ৮ উইকেটে ৩২৫ রান তুলে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যায় কিউইরা। এর আগেই অবশ্য মিচেলের উইকেট হারিয়েছে তারা।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর খুব বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। জ্যাক লিচ তিন বলের মধ্যে কিউইদের শেষ দুটি উইকেট তুলে নেন। ৪ রানে শেষ দুই উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এ দুটি উইকেট নিয়ে কিউইদের প্রথম ইনিংসে ১০০ রান দিয়ে ৫ উইকেট পেয়েছেন লিচ। বাঁহাতি এ স্পিনার এই প্রথম দেশের মাটিতে ৫ উইকেট নিলেন।
এই সিরিজে ৫ ইনিংস খেলে ৪৮২ রান তুলে ফেলেছেন মিচেল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ব্যাট হাতে ড্যারিল মিচেলের রানের ফোয়ারা ছুটছেই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক সিরিজে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করার ৭৩ বছরের রেকর্ড ভেঙেছেন মিচেল। টেস্টে টানা তৃতীয় শতক পাওয়া মিচেল ছাড়িয়ে গেছেন মার্টিন ডোনেলিকে। ১৯৪৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক সিরিজে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৬২ রান করেছিলেন তিনি।