২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

মিচেলের ছয়ে উপচে পড়ল দর্শকের গ্লাসের বিয়ার

ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেওয়া মিচেল ধীরেসুস্থে দেখেশুনেই খেলেছেন। কিন্তু কখনো কখনো আবার বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছেন ১৪৭ বলে ৮১ রান তুলে উইকেটে থাকা কিউই ব্যাটসম্যান।ছবি: রয়টার্স

টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটের এই যুগে ক্রিকেট বিশ্ব নতুন অনেক কিছুই দেখে ফেলেছে। টি–টোয়েন্টি ম্যাচে ব্যাটসম্যানের দিক থেকে ছুটে আসা বুলেটগতির বল থেকে নিজেকে বাঁচাতে মাঠে আম্পায়ারদের অনেক সময়ই হাতে একটি শিল্ড পরেন। কখনো কখনো মাঠ থেকে কাছের গ্যালারিতে বসা দর্শকদের মাথায় পরতে দেখা যায় হেলমেট।

টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট যে চার–ছক্কারই খেলা। সেই চার–ছয় উপভোগ করতে গিয়ে মাথায় বল লেগে কেউ যেন আহত না হন, এ ব্যবস্থা সে কারণেই। টেস্ট ক্রিকেটে সংখ্যাটা কম হলেও ছক্কা তো মারা হয় আর সেই ছক্কায় গ্যালারিতে কারও লোকসানও হতে পারে। এই যেমন গতকালই ইংল্যান্ড–নিউজিল্যান্ড ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টের প্রথম দিনে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে।

১৬৯ রানে নিউজিল্যান্ডের ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর টম ব্লান্ডেলকে নিয়ে ধাক্কা সামলে ওঠেন ড্যারিল মিচেল। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১৪৯ রান তুলে অবিচ্ছিন আছেন তাঁরা। নিউজিল্যান্ডও দিনের খেলা শেষ করেছে ৪ উইকেটে ৩১৮ রান নিয়ে।

ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেওয়া মিচেল ধীরেসুস্থে দেখেশুনেই খেলেছেন। কিন্তু কখনো কখনো আবার বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছেন ১৪৭ বলে ৮১ রান তুলে উইকেটে থাকা কিউই ব্যাটসম্যান। ইনিংসের ৫৬তম ওভারটি করেছেন ইংল্যান্ডের স্পিনার জ্যাক লিচ। তাঁর সেই ওভারে দুই–একবার উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারার চেষ্টা করেন মিচেল। প্রথম বলটিতে চার মারেন তিনি। আর ওভারের তৃতীয় বলে বেরিয়ে এসে ছয় মারেন।

মিচেলের সেই ছক্কা মারা বলটি চলে যায় গ্যালারিতে। এক দর্শকের মাথার ওপর দিয়ে গিয়ে বলটি যখন গ্যালারিতে পড়ল, দেখা গেল চারদিকে পানি ছিটকে পড়েছে। পরে ভিডিও রিপ্লে দেখে বোঝা গেছে, বলটি আসলে এক নারী দর্শকের বিয়ারের গ্লাসে গিয়ে পড়েছে! সেই নারী দর্শক তো হতবাক হয়ে গেছেন। তাঁর মুখে দেখে মনে হয়েছে—বড় বাঁচা বেঁচে গেছেন তিনি!

ধারাভাষ্যকক্ষে এ নিয়ে কিছুক্ষণ হাসিঠাট্টাও চলে। একজন ধারাভাষ্যকার বলে ওঠেন, ‘এটা বিয়ারের গ্লাসে পড়েছে।’ বিবিসির ধারাভাষ্যে ইংল্যান্ডের সাবেক স্পিনার ফিল টাফনেল বলেন, ‘জ্যাক, তাকে (মিচেল) শান্ত করো। ওর কারণে গ্যালারিতে মানুষের বিয়ার নষ্ট হচ্ছে।’ ইংল্যান্ডের সমর্থক গোষ্ঠী বার্মি আর্মি তাদের টুইটারে লিখেছে, ‘সুসান—যে নারীর বিয়ারে বল পড়েছে, কিউই দল থেকে তাকে আরেকটি বিয়ার দেওয়া হয়েছে!’

এমন ঘটনা অবশ্য এর আগেও ক্রিকেটে হয়েছে। আর সেটাও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০০৭ সালে ইংল্যান্ড সফরে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্রিস্টলে রাহুল দ্রাবিড়ের মারা ছয়ে গ্যালারিতে ভেঙে গিয়েছিল এক দর্শকের গ্লাস। সেই ম্যাচে ৬৩ বলে অপরাজিত ৯২ রান করা দ্রাবিড় ছয়টি মেরেছিলেন ৪৯তম ওভারেজেমস অ্যান্ডারসনের বলে। আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩২৯ রান করা ভারত ম্যাচটি জিতেছিল ৯ রানে।