মাঞ্জরেকারকে তামিল ভাষায় জবাব অশ্বিনের
তামিল ভাষায় সঞ্জয় মাঞ্জরেকারকে খোঁচা দিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ৭৮ টেস্টে ৪০৯ উইকেট নেওয়া অশ্বিনকে প্রাপ্য মর্যাদা দিতে কুণ্ঠিত মাঞ্জরেকারের অবশ্য সেই খোঁচা খেয়ে কী প্রতিক্রিয়া, সেটি জানা যায়নি।
কিছুদিন আগেই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এক আলোচনায় অশ্বিনকে কেন সর্বকালের সেরাদের কাতারে ফেলা যাবে না, তা নিয়ে নিজের যুক্তি দিয়েছিলেন ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান ও হালের টেলিভিশন ভাষ্যকার মাঞ্জরেকার। তাঁর সাফ কথা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের পিচে যেহেতু ৫ উইকেট নেই অশ্বিনের, তাই তাঁকে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় রাখা যাবে না। মাঞ্জরেকারের এমন যুক্তি শুনে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেলও। তিনি বলেছিলেন, জোয়েল গার্নারেরও তো ৫ উইকেট নেই, তাই বলে ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলারকে সেরাদের কাতারে ফেলা যাবে না!
মাঞ্জরেকার বলেছিলেন, ‘কেউ যখন রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে সর্বকালের সেরাদের কাতারে ফেলতে চান, তখন আমার সমস্যা হয়। অশ্বিনকে আমি কেন সর্বকালের সেরা বলব, ওর তো অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে ৫ উইকেট নেই।’
ভারতীয় অফ স্পিনারের টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি ৩০ বার। এর মধ্যে ভারতের মাটিতেই ২৪ বার। তাঁর ৪০৯ উইকেটের মধ্যে ২৮৬ উইকেটই ভারতের মাটিতে নেওয়া। মাঞ্জরেকার এ কারণেই তাঁকে সর্বকালের সেরাদের কাতারে ফেলতে চাচ্ছেন না। তাঁর মতে, ক্রিকেট দুনিয়ায় স্পিনারদের জন্য কঠিন উইকেটগুলোতেই যে তাঁর ৫ উইকেট-কীর্তি নেই!
অশ্বিন মাঞ্জরেকারের এমন মন্তব্যের সরাসরি জবাব দেননি। তিনি বরং কিছুটা রসিকতার আশ্রয় নিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা মিম পোস্ট করে তিনি জবাবটা দেন। তামিল ভাষায় সেই পোস্টের বাংলা অর্থ দাঁড়ায়, ‘এমন কিছু বলবেন না যাতে মনে আঘাত লাগে।’
মাঞ্জরেকার অতীতেও নানা ইস্যুতে বিতর্কিত কথাবার্তা বলে সমালোচিত হয়েছেন। ক্রিকেটারদের ক্ষোভের কারণ হয়েছেন। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে রবীন্দ্র জাদেজাকে তিনি বলেছিলেন, ‘একটু-আধটু ক্রিকেটার’। ব্যাপারটি ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবেই নিয়েছিলেন জাদেজা। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্যেও জাদেজার ঝোড়ো ব্যাটিং ভারতকে প্রায় জয়ের প্রান্তেই নিয়ে গিয়েছিল। ফিফটি করে জাদেজা ধারাভাষ্যকক্ষের দিকে ইঙ্গিত করে উদ্যাপন করেছিলেন। সেটি যে মাঞ্জরেকারকে জবাব দিয়েই, তা বুঝতে বিশেষজ্ঞের দরকার পড়েনি।
কেবল ক্রিকেটারদের নিয়ে মন্তব্য নয়, মাঞ্জরেকার ২০১৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ-ভারত দিনরাতের টেস্টে বাজে মন্তব্য করেছিলেন সহ ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলেকে নিয়েও। সেটি তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। এরপর ধারাভাষ্য প্যানেল থেকে কিছুদিনের জন্য বাদ পড়েছিলেন তিনি।