ভারতের হয়ে এমন দিলদরিয়া বোলিং করেননি কেউ
এ বিশ্বকাপ শাসন করবে ফাস্ট বোলার ও লেগ স্পিনাররা। বাংলাদেশ ছাড়া সব দলই লেগ স্পিনার নিয়ে বিশ্বকাপে গেছে। এ নিয়ে শঙ্কাও ছিল অনেক। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব শেষ হওয়ার পর সে শঙ্কা অমূলক বলেই প্রমাণ হচ্ছে। কারণ ফাস্ট বোলাররা দাপট দেখালেও লেগ স্পিনারদের নিয়ে সতর্কতা গল্পকথা বলেই মনে হচ্ছে এখন।
২০১৯ বিশ্বকাপেই নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন সময়ের সেরা লেগ স্পিনার রশিদ খান। ৮ ম্যাচে পেয়েছেন মাত্র ৫ উইকেট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ ওভার বল করেই ১১০ রান দিয়েছেন। বিশ্বকাপে সবচেয়ে খরচে বোলিংয়ের রেকর্ডটা এখন তাঁর। ওয়ানডেতে সবচেয়ে খরচে স্পিনারের রেকর্ডও এখন লেগ স্পিনার রশিদের।
আজও ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা ভারতীয় লেগ স্পিনারদের নিয়ে রীতিমতো উৎসবে মেতেছিলেন। ৩০ থেকে ৪০ ওভারে রান তোলায় বাঁধ দিয়ে কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চাহাল নিজেদের বোলিং ফিগারকে একটু ভদ্রস্থ করতে পেরেছেন। ১০ ওভারে ৭২ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন যাদব। ওতেই অমর্যাদাকর এক তালিকায় ঢুকে গেছেন বাঁহাতি লেগ স্পিনার যাদব। বিশ্বকাপে ভারতীয় বোলার হিসেবে এক ম্যাচে তাঁর চেয়ে বেশি রান দিয়েছেন মাত্র ছয়জন।
যাদব তবু তাঁর সামনে আরও ছয়জনকে পাচ্ছেন। কিন্তু চাহালের যে সেই সান্ত্বনাও নেই। আজ ১০ ওভার বল করে কোনো উইকেট পাননি চাহাল। শুধু উইকেটশূন্য থাকেননি, উদারহস্তে রানও দিয়েছেন ৮৮টি। বিশ্বকাপে তাঁর চেয়ে বেশি রান এক ম্যাচে ভারতের কেউ দেননি। ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে রিকি পন্টিংয়ের কাছে বেধড়ক পিটুনির শিকার হয়ে জাভাগাল শ্রীনাথ ৮৭ রান দিয়েছিলেন। গত তিন বিশ্বকাপে সে রেকর্ড আর ভাঙা হয়নি কারও। বিশ্বকাপে ভারতের সবচেয়ে খরচে বোলিংয়ের রেকর্ডটা আজ থেকে চাহালের।
বিশ্বকাপে চাহালের চেয়ে বেশি রান দিয়েছেন এমন স্পিনারই আছেন মাত্র দুজন। একজন যে রশিদ সেটা তো লেখা শুরুতেই বলা হয়েছে। আর এ দুই লেগ স্পিনারে মাঝে আছেন ডোয়াইন লেভেরক। ২০০৭ বিশ্বকাপে বারমুডার হয়ে ভারতের বিপক্ষে ৯৬ রান দিয়েছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার।