ভারতের সিরিজে 'নো বল'-এর যে নিয়মটি বদলে যাচ্ছে
হায়দরাবাদে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে আজ থেকে। এরপর মাঠে গড়াবে আরও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এ দুটি সিরিজে বোলারদের সামনের পায়ের ‘নো বল’ নিয়ে মাঠের আম্পায়ার কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না। তৃতীয় আম্পায়ার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন, কাল জানিয়েছে আইসিসি। এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, মাঠের আম্পায়াররা অন্যান্য সব সিদ্ধান্ত ‘আগের মতোই’ নেবেন তবে বোলার ‘ওভারস্টেপ’ করেছেন কি না, তা ধরতে প্রতিটি ডেলিভারি পর্যবেক্ষণ করবেন টিভি বা তৃতীয় আম্পায়ার।
আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘(বোলারের) সামনের পা সীমালঙ্ঘন করলে তা মাঠের আম্পায়ারকে জানাবেন তৃতীয় আম্পায়ার। এরপর মাঠের আম্পায়ার নো বল ডাকবেন। অর্থাৎ তৃতীয় আম্পায়ারের পরামর্শ ছাড়া নো বল ধরতে পারবেন না মাঠের আম্পায়ার।’ তবে ডেলিভারির সময় বোলারের সামনের পায়ের অবস্থানের ছবি দেখেও নো বল ধরা কঠিন হয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে ‘বেনিফিট অব ডাউট’-এর সুবিধা বোলারই পাবেন বলে জানিয়েছে আইসিসি। অর্থাৎ, ছবি দেখে নো বল হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে না পারলে সিদ্ধান্ত বোলারের পক্ষেই যাবে।
আবার দেখা গেল, ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর তৃতীয় আম্পায়ার ধরতে পারলেন ডেলিভারিটি নো বল ছিল। মানে বোলার ‘ওভারস্টেপ’ করেছেন। তখন ব্যাটসম্যান আবারও ব্যাট করতে পারবেন। মানে আউট হবেন না। আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যেকোনো ধরনের বেনিফিট অব ডাউট বোলারের পক্ষেই যাবে। আর নো বলটা পরে জানানো হলে মাঠের আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত বাতিল করে নো বল ডাকবেন।’
>ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে আজ থেকে। ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে তারপর। এ দুটি সিরিজে বোলারদের সামনের পায়ের নো বল ধরবেন তৃতীয় আম্পায়ার
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলারদের ওভারস্টেপিং ধরতে আইসিসির এমন প্রযুক্তির মহড়া এবারই প্রথম নয়। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান ওয়ানডে সিরিজে বোলারদের ‘ফ্রন্ট ফুট নো বল’ ধরেছিলেন টিভি আম্পায়ার। এবারের মতো সেটিও ছিল পরীক্ষামূলক পদ্ধতি। আইপিএলেও বোলারদের পায়ের নো বল ধরার চ্যালেঞ্জটা টিভি আম্পায়ারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আগামী সংস্করণে বোলারদের পায়ের নো বল ধরতে অতিরিক্ত টিভি আম্পায়ার রাখা হবে আইপিএলে।
আইসিসি এই পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় গত আগস্টে। নো বল ধরার সিদ্ধান্ত নিখুঁত করতে এটি ফলপ্রদ হলে পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ক্রিকেট কমিটি সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ম্যাচে যত বেশি সম্ভব এ পদ্ধতি প্রয়োগের সুপারিশ করার পর আইসিসি তা পুনরায় পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।