ভারতের যদি স্টোকসের মতো অলরাউন্ডার থাকত
আজকাল ক্রিকেট মাঠে কী না করছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। গত সপ্তাহে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যানচেস্টার টেস্টে দলের দরকারে মন্থর ব্যাটিং করে করছেন বিশাল সেঞ্চুরি। আবার দলের দরকারে পরের ইনিংসেই তুলেছেন দ্রুততম ফিফটি।
প্রতিপক্ষ জুটি গড়ছে। উইকেট দরকার। অধিনায়ক বল তুলে দেন স্টোকসের হাতে। নিজের বোলিংয়ের সময় নিজেই আবার ফিল্ডিং করে বাউন্ডারি লাইন থেকে বল থামান। বোলিং মেশিনের মতো বাউন্সারের পর বাউন্সার দিয়ে অধিনায়ককে উইকেট উপহার দিয়ে তবেই বিশ্রাম নেন। ম্যাচ জেতানোর পারফরম্যান্স দিয়ে উঠে এসেছেন আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে স্টোকস এখন তৃতীয় সেরা।
স্টোকসের মতো একজন অলরাউন্ডার কে না দলে পেতে চাইবে! বিরাট কোহলির ভারতে যদি স্টোকস থাকতেন? কোহলি-পূজারাদের মতো তারকা ব্যাটসম্যানদের পর স্টোকসের ব্যাটিং, ইশান্ত-বুমরাদের সঙ্গে স্টোকসের বোলিং—এমন হলে নিশ্চয়ই ভারত হতো সব কন্ডিশনের রাজা। সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান এমন কল্পনাই করছেন।
টুইটারে স্টোকসের প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘বেন স্টোকসের মতো ম্যাচ জেতানো অলরাউন্ডার থাকলে ভারত যে কোনো কন্ডিশনে অপরাজেয় দল হতো।’ সাবেক সতীর্থ অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং আবার ইরাফানকে নিজের সোনালি দিনের কথা মনে করিয়ে দিলেন খোঁচা মেরে, ‘তুমি কী বলছ, আমাদের কোনো ম্যাচ জেতানো অলরাউন্ডার নেই?’ পাঠান উত্তরে লিখেছেন, ‘ভাই, যুবরাজ সিং তো আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দিয়েছে।’
স্টোকসের মতো নিখাদ অলরাউন্ডার কখনোই ছিলেন না যুবরাজ। ব্যাটিংটাই ছিল যুবরাজের মূল শক্তি। স্টোকস দুই বিভাগেই সমান দক্ষ। যুবরাজের টেস্ট ক্যারিয়ারও তেমন বর্ণিল নয়। তারকায় ঠাসা ভারতীয় টেস্ট ব্যাটিং লাইন আপে নিয়মিত জায়গা হয়নি যুবরাজের। তবে যুবরাজ জানতেন কীভাবে বড় শিরোপা জিততে হয়। ভারতকে ১৯৯৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ, ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন যুবরাজ।