শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচে ভারতের নেতৃত্ব যশপ্রীত বুমরার কাঁধেই তুলে দেওয়া হলো। রোহিত শর্মা করোনামুক্ত হতে পারেননি। সহ–অধিনায়ক লোকেশ রাহুল চোট পেয়েছেন। গত জানুয়ারিতে স্বেচ্ছায় টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া বিরাট কোহলিকে অধিনায়কের দায়িত্বটা দেওয়ার কথা বলেছিলেন কেউ কেউ, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নিয়মমাফিক পথেই হেঁটেছে। রোহিত, কোহলির পর ভারতীয় দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ বুমরার হাতেই দেওয়া হলো দায়িত্ব।
ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত বুমরা। বলছেন তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন এটি। ১৯৮৭ সালের পর এই প্রথম টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কোনো পেসার। কপিল দেব সেবার শেষবারের মতো নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তবে বিশ্বকাপ এনে দেওয়া অধিনায়ক ছিলেন অলরাউন্ডার। শুধুই পেসার হিসেবে ভারত দলের নেতৃত্ব দেওয়ার কীর্তিতে বুমরাই প্রথম।
বৃহস্পতিবার টেস্ট–পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বুমরা কিছুটা আবেগপ্রবণই হয়ে উঠলেন, ‘এটা আমার বিরাট এক অর্জন। বিরাট সম্মান। ভারতের হয়ে টেস্ট খেলাটা আমার স্বপ্ন ছিল। দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারা তো বিরাট এক সম্মান। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন।’
দলে নিজের অবস্থান কোথায়, এ নিয়ে কোনো দিন ভাবেননি বলেই জানান বুমরা। তবে সব সময় নিজের সামর্থ্যের প্রতি আস্থা ছিল তাঁর, ‘আমি দলে আমার অবস্থান নিয়ে ভাবি না। মানুষ আমাকে নিয়ে কী ভাবে, সেটিও আমার দেখার দরকার নেই। আমি শুধু জানি, আমি কী করতে পারি। আমার সামর্থ্য কতটুকু! আমি মৌলিক বিষয়গুলোতে আস্থা রাখতে পছন্দ করি এবং এটিই করে যাব সব সময়।’
রোহিত শর্মার করোনা হওয়ার কারণেই তিনি এজবাস্টনে ভারতের অধিনায়ক। তবে তিনি ম্যাচে রোহিতের অভাব বোধ করবেন, ‘রোহিত অবশ্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। আমরা এজবাস্টনে তাঁকে মিস করব।’
২০১৬ সাল থেকে ভারতীয় দলের অংশ বুমরা। এই ছয় বছরে মহেন্দ্র সিং ধোনি, কোহলি, রোহিত—এই তিন সিনিয়রের অধীন খেলেছেন। তাঁদের কাছ থেকে নিশ্চয়ই অনেক কিছু শিখেছেন। তবে বুমরা জানিয়েছেন, তিনি সিনিয়রদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছেন কিন্তু তিনি নিজের বোধবুদ্ধির ওপরই নির্ভর করবেন। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় দলে কিংবদন্তির অভাব নেই। ভারতীয় ক্রিকেটে তাদের অবদান কম নয়। আমি সব সময়ই তাঁদের কাছ থেকে শিখি। আমি তাদের নির্দেশনা, পরামর্শ গ্রহণ করি, সেটি থেকে শেখার চেষ্টা করি। তবে অধিনায়ক হিসেবে আমি আমার মতো করেই সিদ্ধান্ত নেব।’