২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

'ভারতীয় ক্রিকেটের বিশাল ক্ষতি করেছে মনোহর'

এন শ্রীনিবাসন ও শশাঙ্ক মনোহর। ছবি: টুইটার
এন শ্রীনিবাসন ও শশাঙ্ক মনোহর। ছবি: টুইটার

মেয়াদ শেষে আইসিসি সভাপতির পদ থেকে শশাঙ্ক মনোহরের সরে দাঁড়ানোর পর যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছেন এন শ্রীনিবাসন। 'তিন মোড়ল' প্রথা ভাঙার পর থেকেই মনোহরকে ভারতীয় ক্রিকেটের শত্রু বলে আসছেন আইসিসির সাবেক এ সভাপতি। আইসিসিতে মনোহর অধ্যায়ের সমাপ্তির পর আরেকবার পুরোনো কথা নতুন করে বললেন শ্রীনিবাসন।

২০১৫ সালে বিতর্কিত 'তিন মোড়ল' নীতি প্রণয়ন করে বিশ্ব ক্রিকেট পরিচালনার সর্বময় ক্ষমতা দখল করে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। আইসিসির আয়ের সিংহভাগ এই তিন দেশে ভাগাভাগি করে নেওয়ার বন্দোবস্ত করে। শ্রীনিবাসনের হাত ধরেই ক্রিকেটে 'বিগ থ্রি' মডেল দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু মনোহর এসে তিন মোড়লের আধিপত্য ভাঙেন।

বিগ থ্রি ভেঙ্গে দেওয়ায় মনোহরকে 'ভারত-বিরোধী' আখ্যা দিয়েছেন শ্রীনিবাসন। ভারতীয় ক্রিকেটের লাভের চেয়ে ক্ষতিই নাকি চেয়েছেন এই ভারতীয় আইনজীবী, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সে ভারতীয় ক্রিকেটের অনেক ক্ষতি করেছে। আর্থিকভাবে ভারতকে আঘাত করেছে। আইসিসিতে ভারতের সুযোগ কমিয়ে দিয়েছে। সে একজন ভারত-বিরোধী ও বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের গুরুত্ব কমেছে তাঁর জন্যই। সে এখন পালিয়ে যাচ্ছে কারণ সে জানে যে ভারতীয় ক্রিকেটের নেতারা তাঁকে সম্মান করে না।'

শ্রীনিবাসনের অভিযোগ, দায়িত্ব থেকে পালিয়ে বেড়ানো নাকি মনোহরের স্বভাব। ২০১৫ ভারতীয় ক্রিকেটের দুর্দিনে বোর্ড প্রধানের দায়িত্ব ছাড়েন মনোহর। এবার করোনাভাইরাসের দুর্দিনে আইসিসির পদ ছাড়ছেন। মনোহরের এমন সিদ্ধান্তেরও শ্রীনিবাসন কড়া সমালোচনা করেন।

আইসিসিতে ২০১৬ সালের মে মাসে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথম স্বাধীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন মনোহর। ২০১৮ সালে আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুই বছরের জন্য আইসিসির স্বাধীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মনোহর। তবে এবারের মেয়াদ শেষে আর দায়িত্বে না থাকার কথা আগেই জানিয়েছেন তিনি।