ব্যাটিং–ঝড়ের দিনে আকবরের ৪৫ বলে ৮৯
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ আজ ব্যাটিং–ঝড় দেখেছে। সেই ঝড়ে এলোমেলো হয়েছেন বোলাররা।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মাত্র ৪৫ বলেই ৮৯ রান করেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আকবর আলী। আকবরের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে ৩৪৬ রান তোলে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। প্রতিপক্ষ মোহামেডান ২৭৪ রানে অলআউট হয়ে হেরেছে ৭২ রানে।
ইউল্যাব মাঠে ১১ বলে ৩৫ রান করেছেন জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন। তাঁর দল আবাহনী ৫ উইকেটে করে ৩৩৩ রান। প্রতিপক্ষ শাইনপুকুর ৭ উইকেটে করতে পারে ২৯৯ রান।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে নাটকীয় ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ১ রানে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। দলটির পেসার রেজাউর রহমান নিয়েছেন ৫ উইকেট। এই ম্যাচে ২০ বলে ৫০ ছুঁয়েছেন ব্রাদার্সের সোহাগ গাজী। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে যেটি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের তৃতীয় দ্রুততম অর্ধশতক।
মোহামেডানের অভিজ্ঞ বোলারদের বিপক্ষে পাঁচে নেমে কী বিধ্বংসী ব্যাটিংটাই না করলেন গাজীর অধিনায়ক আকবর! ৩০ বলে অর্ধশতক করার পর আকবরের রানের গতি বেড়ে যায় আরও।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দ্রুততম শতকের রেকর্ডকেও হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিলেন আকবর। ২০১৬ সালে মাশরাফি বিন মুর্তজা ৫০ বলে শতক পেয়েছিলেন।
আকবরের ইনিংসটি সাজানো ৫ চার ও ৬ ছক্কায়। ৬ ছক্কার ৫টিই এসেছে মোহাম্মদ হাফিজ ও মাহমুদউল্লাহর অফ স্পিনে। আকবরের আগে অবশ্য আকবর উর রেহমান, ফরহাদ হোসেন ও মাহমুদুল হাসান অর্ধশতক করে শেষের ঝড়ের ভিত গড়ে দেন।
রান তাড়ায় মোহামেডানের রনি তালুকদার ভালো শুরু এনে দিলেও রানের চাপের কাছে পেরে ওঠেনি মোহামেডান। রনি ৬৩ বলে ৮২ রান করেন। সৌম্য (২৩), হাফিজ (৩০), মাহমুদউল্লাহ (৭) ব্যর্থতায় পেরে ওঠেনি মোহামেডান।
পাশের মাঠে প্রাইম ব্যাংক ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যাচটি গড়ায় শেষ ওভারে। শাহাদাত হোসেনের ৬৪ রানে প্রাইম ব্যাংক ভালো শুরু পেয়ে যায়। বাকি কাজটা সারেন নাসির (৬৬) ও শামসুর রহমান (৬০)। দুজনের অর্ধশতকে প্রাইম ব্যাংক ২৭৩ রান করে। কিন্তু বিকেএসপির ব্যাটিং–সহায়ক উইকেটে এই রান যথেষ্ট মনে হচ্ছিল না। তবু রেজাউরের দারুণ বোলিং প্রাইম ব্যাংককে প্রতিযোগিতায় রাখে।
কিন্তু মিডল অর্ডারে আমিনুল ইসলাম (৬২), ধীমান ঘোষ (৫১) ও সোহাগ গাজীর (২১ বলে ৫৪) ব্যাটিংয়ে জয়ের পথেই ছিল ব্রাদার্স। তবে ৪৯তম ওভারে রেজাউর ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। তাঁর শিকারদের একজন ৭৭ বলে ৬২ রান করা আমিনুল।
শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে প্রাইম ব্যাংকের দরকার ছিল ১ উইকেট, ব্রাদার্সের ৩ রান। অলক কাপালির বোলিংয়ে সেই রানও নিতে পারেননি সুজন হাওলাদার। প্রথম বলে আবু হায়দার ১ রান নিয়ে দিলে সুজন পরের দুই বলে কোনো রান নিতে পারেননি। ওভারের চতুর্থ বলে তিনি এলবিডব্লু হলে ১ রানে জয়ের উল্লাসে মাতে প্রাইম ব্যাংক।
ইউল্যাব মাঠে অবশ্য আবাহনী হেসেখেলেই জিতেছে। মোহাম্মদ নাঈমের ৬০, মোসাদ্দেক হোসেনের ৮৮ রান (৬৫ বল) ছিল উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া হনুমা বিহারি (৪৫) ও তৌহিদ হৃদয়ও (৪৫) রান করেছেন। তবে আফিফ শেষের দিকে মাত্র ১১ বলে ৩৫ রান যোগ করে আবাহনীর রান নিয়ে যান ৩৩৩–এ।
শেষ পর্যন্ত আফিফের ইনিংসটিই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। জিম্বাবুইয়ান সিকান্দার রাজার ৯৩ বলে ১০৭ রানের দারুণ এক ইনিংসে ৭ উইকেটে ২৯৯ রান করে শাইনপুকুর। এ ছাড়া ৮২ রান করেন দলটির ওপেনার অভিষেক মিত্র।