ব্যাটিং উইকেট ছাড়া পারে না ইংল্যান্ড!
>ব্যাটিং উইকেট ছাড়া এউইন মরগানের ইংল্যান্ড দল ম্যাচ জিততে সক্ষম নয়, এমনটাই মনে করছেন সাবেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান জিওফ্রে বয়কট।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ ইংল্যান্ডের। গত ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর থেকেই নিজেদের আমূল বদলে নিয়েছে এউইন মরগানের দল। ওয়ানডেতে ৩০০ ছাড়ানো স্কোর করাকে রীতিমতো ডালভাত বানিয়ে ফেলেছে তারা। অথচ দলটিরই সাবেক এক ব্যাটসম্যান বলছেন, ব্যাটিং উইকেট ছাড়া এই ইংল্যান্ড দল জিততে পারে না!
মন্তব্যটা যিনি করেছেন, ক্রিকেট বিশ্বে ঠোঁটকাটা হিসেবে পরিচয় আছে তাঁর। ভুলত্রুটি দেখলে কখনোই সমালোচনা করতে পিছপা না হওয়া জিওফ্রে বয়কট সরাসরিই বলে দিয়েছেন, ‘একমাত্রিক’ এই ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ ব্যাটিং উইকেট ছাড়া একেবারেই অকার্যকর। একটু বোলিং–সহায়ক উইকেট হলেই মুখ থুবড়ে পড়ে এই ব্যাটিং, এমনটিও মন্তব্য করেছেন বয়কট।
টেলিগ্রাফে লেখা এক কলামে মরগানের দলের এমন সমালোচনা করেছেন ৮ হাজারের বেশি টেস্ট রানের মালিক বয়কট, ‘ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ইউনিট একমাত্রিক। তাদের কোনো বিকল্প পরিকল্পনা আছে বলে মনে হয় না। থাকলেও তারা সেটি কাজে লাগাতে পারছে না। এখনকার দিনে যেসব উইকেটে খেলা হয়, ২১ বারের মধ্যে ২০ বারই সেগুলো বড় সংগ্রহের জন্য সহায়ক। এসব উইকেটে এই ইংল্যান্ড দল অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু যখনই উইকেটে বোলারদের জন্য একটু কিছু থাকে, বা বল একটু ধীরে আসতে শুরু করে, তখনই তাদের দুর্বলতা ধরা পড়ে যায়। বল ঠিকভাবে ব্যাটে না এলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আর নিজেদের হাতে রাখতে পারে না তারা। এই দলের বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানই পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে ব্যাটিং করতে জানে না।’
ব্যাটসম্যানদের সমালোচনা করলেও জো রুটের জন্য আলাদা প্রশংসা বরাদ্দ রেখেছেন বয়কট। টেকনিকের জন্যই রুট বাকিদের চেয়ে আলাদা, এমনটাই মনে করছেন সাবেক এই ইংলিশ অধিনায়ক, ‘জো রুট বাকিদের চেয়ে ব্যতিক্রম। নিজের টেকনিক দিয়েই সব সংস্করণের ক্রিকেটে রান করে চলেছে সে।’
গতকালের ম্যাচে যেন বয়কটের কথাকেই সত্য প্রমাণিত করেছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। নিজেদের ইনিংস শেষেই অ্যারন ফিঞ্চ জানিয়েছিলেন, শেষ দিকে বল একটু ধীরে ব্যাটে আসছিল। শচীন টেন্ডুলকারও ইনিংস–মধ্যবর্তী বিশ্লেষণে বলেছিলেন, এ উইকেটে ২৮৫ ম্যাচ জেতার মতো সংগ্রহ। ৬৪ রানে ম্যাচ হেরে সেটিই যেন প্রমাণ করেছে ইংলিশরা। ৫৩ রানের মধ্যেই হারিয়ে ফেলেছিল ৪ উইকেট। এক বেন স্টোকস ছাড়া মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি আর কেউই। দুই বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক ও জেসন বেরেনডর্ফের সামনে একধরনের অসহায় আত্মসমর্পণই করেছে মরগানের দল।