ব্যাটসম্যানের মারের ভয়ে বল পিচেই ফেলতে পারলেন না বোলার
পেশাদার ক্রিকেটে লুইস গ্রেগরি নামটা অপরিচিত নয়। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে তো নয়ই। কিছুদিন আগেই পেশাদার ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন এ অলরাউন্ডার।
বিপিএলে রংপুর রাইডার্স, পিএসএলে পেশোয়ার জালমি ও ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলা গ্রেগরি কাল বিগ ব্যাশের একটি ডেলিভারি জীবনে আর কখনো মনে করতে চাইবেন না।
ডেলিভারিটি অনেকের মতেই বিগ ব্যাশের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে, অনেকে আবার বলছেন, ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম বাজে ডেলিভারি!
অবশ্য হোবার্ট–হারিকেনস ও ব্রিসবেন হিটের ম্যাচটা কিন্তু মোটেও বাজে ছিল না। বরং নখ কামড়ানো এক ম্যাচই বলা যায়। জয়ের জন্য শেষ বলে ২ রান দরকার ছিল ব্রিসবেনের।
শেষ বলে রানআউট হয়ে ম্যাচটা সুপার ওভারেও নিতে পারেননি ব্রিসবেনের মার্ক স্টেকেটি। মূলত হারিকেনসের ১ রানে জয়ের ম্যাচের এই চিত্রনাট্যই আলোচনা কুড়িয়েছে বেশি। তাতে নিজের ‘কাণ্ড’ ঢাকা পড়লে গ্রেগরির অবশ্য খুশিই হওয়ার কথা।
ঘটনাটা হোবার্ট হারিকেনস ইনিংসে। ১৭তম ওভারে বল করছিলেন ব্রিসবেনের এ পেসার। উইকেটে তখন হোবার্টের টিম ডেভিড মারমুখী। তাঁকে আটকাতে পঞ্চম বলটা স্টাম্পের বাইরে করার চেষ্টা করেন গ্রেগরি। এতটাই বাইরে যে আরেকটু হলে পিচের বাইরে পড়ত। আম্পায়ার যথারীতি ওয়াইড দেন।
পরের বলটা ‘ষষ্ঠ’ স্টাম্পে—লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা। এরপর ওভারের শেষ বলে গ্রেগরি নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি।
অফ কাটার মারতে গিয়ে বল ফেলেন পিচের বাইরে! অল্প না বেশ বাইরে। আম্পায়ার ‘নো’ বল ঘোষণা করে ফ্রি–হিট দেন। পরের বলে আবারও অফ স্টাম্পের বাইরে রাখতে গিয়ে ছক্কা হজম করেন গ্রেগরি।
ওই ওভারে তাঁর ওই ‘নো’ বল নিয়েই হাস্যরস চলছে।টুইটারে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট নিয়ে আলোচনার প্রিয়মুখ রিক এয়েরের টুইট, ‘লুইস গ্রেগরি হার্মিসন “স্পেশাল” উপহার দিলেন।’
গ্যাবায় ২০০৬–০৭ অ্যাশেজে বর্তমান অস্ট্রেলিয়া দলের কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের বিপক্ষে প্রায় এমনই এক ডেলিভারি ছেড়েছিলেন হার্মিসন। ইংল্যান্ডের সাবেক এই পেসারের সেই ডেলিভারি অবশ্য পিচের মধ্যে ছিল।
যাহোক, পিচের বাইরে বল ফেলার পর উইকেটে বসে পড়েন গ্রেগরি। আম্পায়ার এসে তাঁকে টেনে তোলেন। ফক্স ক্রিকেটের ধারাভাষ্যকার মার্ক হাওয়ার্ড বলেন, ‘বিবিএল১০ সংস্করণে এটি সবচেয়ে অদ্ভুত ডেলিভারি।’
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার মাইক হাসির ফোঁড়ন, ‘আম্পায়ার এসে বোধ হয় জিজ্ঞেস করেছে, তুমি ঠিক আছ তো? এটি নো বল।’