ব্যথাটা নিয়েই খেলে যাবেন মাশরাফি
বয়স ৩৮। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে সেই ২০২০ সালের মার্চ থেকে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিয়মিত হতে পারছেন না পুরোনো শত্রু চোটের কারণে। তবু মাশরাফি বিন মুর্তজা প্রিয় খেলাটার প্রতি ভালো লাগা থেকে লড়ে যাচ্ছেন মাঠে ফেরার লড়াই।
এবারের বিপিএলে মিনিস্টার ঢাকার হয়ে খেলেছেন পিঠের ব্যথা নিয়ে। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়েও খেলবেন সেই ব্যথার সঙ্গে যুদ্ধ করেই। কদিন আগে ভারতে চিকিৎসক দেখিয়ে কোনো সমাধান পাননি।
সম্পূর্ণ সুস্থ হতে অস্ত্রোপচার ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু অস্ত্রোপচার করলে খেলার মতো সুস্থ হতে লাগবে ৯ মাস সময়। তাই ব্যথাকে সঙ্গী করেই প্রিমিয়ার লিগ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক।
এমন শারীরিক অবস্থাতেও ‘আমি পারব’—এই আত্মবিশ্বাস আসছে নিজের বোলিং দক্ষতার কারণে। যত যা–ই হোক, বল যে এখনো মাশরাফির কথা শোনে! যেদিন বলটি জায়গা মতো পড়বে না, সেদিন হয়তো স্পাইক জোড়া তুলে রাখবেন এই পেসার।
ম্যানেজ করে যতটুকু খেলা যায়। যেহেতু জাতীয় দলের কোনো ভাবনা নেই, সার্জারি থেকে যতটা দূরে থাকা যায় আর কি
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে রূপগঞ্জের অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের মাশরাফি বলছিলেন, ‘এটার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। বিপিএলে (চোট নিয়েই) খেলেছি। লেংথ যখন ঠিক মতো হিট করতে পারি, তখন মনে হয় আমি ঠিক আছি। এটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বল যদি জায়গা মতো না পড়ে তখন মনে হয় যে, নাহ, শেষ।’
আপাতত ‘শেষ’ নিয়ে না ভেবে মাশরাফি খেলাটা উপভোগ করতে চাইছেন। প্রিমিয়ার লিগে কী লক্ষ্য নিয়ে খেলছেন, এ প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বলছিলেন, ‘আমার কোনো লক্ষ্য নেই। আমি আগেও বলেছিলাম, শুধুই ভালো লাগা থেকে খেলছি। আমার কোনো লক্ষ্য নেই। ঢাকা লিগে অসংখ্য খেলোয়াড় আছে যারা হয়তো ১০-১৫ বছর খেলছে। তাদের আর লক্ষ্য অন্যদিকে নেই। কেউ রুজি-রুটির জন্য খেলে, কেউ ভালো লাগার জন্য খেলে। খেলাটাই আনন্দ তাদের কাছে, তাই খেলে। আমার কাছে খেলাটা সবসময় উপভোগের। দেখা যাক কতদিন খেলতে পারি।’
নিজের চোটের বিষয়ে জানতে চাইলে মাশরাফি জানান, ‘চিকিৎসা করিয়ে এসেছি। সার্জারি লম্বা সময়ের ব্যাপার। এ মুহূর্তে তাই মানিয়ে নিয়ে যতটা সময় খেলা যায় সেই চেষ্টা করব। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেট থাকবে না, বড় বিরতি পাব। এখন অপারেশন করালে হয়তো ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারতাম না। এ জন্য ম্যানেজ করে যতটুকু খেলা যায়। যেহেতু জাতীয় দলের কোনো ভাবনা নেই, সার্জারি থেকে যতটা দূরে থাকা যায় আর কি।’
আগামীকাল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে খেলবে মাশরাফির রূপগঞ্জ। দলটির প্রথম ম্যাচে না খেললেও আগামীকাল একাদশে দেখা যেতে পারে মাশরাফিকে, ‘আমাদের পরের ম্যাচ কালকে (শুক্রবার)। এখন পর্যন্ত আশা করছি (খেলব)। বাকিটা মাঠে গিয়ে দেখা যাবে।’