বোথামের সার্টিফিকেট পেলেন স্টোকস
নতুন আশা, নতুন টেস্ট অধিনায়ক। আবার নতুন পথচলার স্বপ্নে বুক বাঁধছে ইংলিশ ক্রিকেট। জো রুটের পর ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের হাল ধরেছেন বেন স্টোকস। নেতৃত্ব বদলের পরপরই ক্রিকেটমহলে এই নিয়োগ নিয়ে শোনা যাচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
স্টোকসের নেতৃত্বগুণ নিয়ে কেভিন পিটারসেনের মনে সন্দেহ না থাকলেও ইংলিশ বোর্ডের নিয়মকানুনের বেড়াজেলে স্টোকস কতটুকু স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন, সেটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। মাইকেল আথারটন আবার মনে করেন দীর্ঘ মেয়াদে স্টোকসকে টেস্ট অধিনায়কত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল।
আশাবাদীদের তালিকাটাও আবার ফাঁকা নয়। নাসের হুসেইন, মাইকেল ভনের মতো ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়কেরা ৩০ বছর বয়সী স্টোকসকেই চাইছিলেন অধিনায়ক হিসেবে।
ইয়াম বোথামও সেই আশাবাদীদের তালিকায়। ইংল্যান্ডের সাবেক এই কিংবদন্তি অলরাউন্ডারের মতে, বর্তমান সময়ে ইংল্যান্ডকে টেস্ট আঙিনায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য স্টোকসই সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি। বোথাম নিজেও অলরাউন্ডার ছিলেন, ১৯৮০-১৯৮১ সালে ইংল্যান্ডকে ১২ টেস্টে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন। অধিনায়ক বোথাম সফল ছিলেন কি না, সে নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও বোথাম নিঃসন্দেহ, স্টোকস সফলই হবেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোথাম জানিয়েছেন, ইংল্যান্ড টেস্ট দলের হাল ধরার জন্য জো রুটের বিকল্প একমাত্র স্টোকসই ছিলেন, ‘সে-ই একমাত্র পছন্দ।’
এমনিতেও স্টোকসের ওপর চাপের শেষ নেই। তিনি যে ধরনের ক্রিকেটার, তাতে স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য যে কারোর চেয়ে তার ওপর চাপ বেশি আসবে, স্বাভাবিক। একজন অলরাউন্ডারকে যে বোলার-ব্যাটসম্যান উভয় ভূমিকারই চাপ নিতে হয়! যে চাপে অনেকে ভেঙে পড়েন, অধিনায়কত্বে মন বসাতে পারেন না ঠিকমতো। যার প্রভাব পড়ে দলীয় পারফরম্যান্সে। এমনিতেই গত বছর মানসিক চাপ ও জৈব সুরক্ষাবলয়ে থাকার ক্লান্তিতে কিছুদিন ক্রিকেট থেকে ছুটি নিয়েছিলেন স্টোকস।
বোথাম যে ১২ টেস্টে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, ইংল্যান্ড একটা ম্যাচেও জেতেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আট ম্যাচ হারার পাশাপাশি ড্র করেছিলেন বাকি চার টেস্টে। বোথাম নিজেও অবশ্য চাপের ব্যাপারটা স্বীকার করেছেন, ‘আমার ওপরে তখন অনেক দায়িত্ব। যে কারণে সেই বিশ্বজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১-০ ও ২-০ ব্যবধানে হেরেছিলাম। ৫-০ নয়।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর ইংল্যান্ডের ক্রিকেটের খোলনলচেই বদলে গেছে। অ্যাশেজের পর কোচ ক্রিস সিলভারউডকে ছাঁটাই করে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি), উইন্ডিজে ব্যর্থতার জেরে দায়িত্ব ছেড়ে দেন বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাশলি জাইলসও। উইন্ডিজ সফরের পর রব কি পেয়েছেন বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব, এরপর স্টোকস হলেন টেস্ট অধিনায়ক।