বিশ্বকাপের টিকিট কেটে ইতিহাস পাপুয়া নিউ গিনির
>২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে পাপুয়া নিউ গিনি। বিশ্বকাপে এই প্রথম খেলার সুযোগ পেল ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশটি
পাপুয়া নিউ গিনির ক্রিকেটে পথচলা নতুন না। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মর্যাদা পেয়ে হারিয়ে আবার ফিরে পেয়েছে ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশটি। ওয়ানডেতে দলীয় সর্বোচ্চ ৫২৭/৭ রান তোলার রেকর্ডও তাদের। কিন্তু কখনো বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়নি দলটি—কথাটি আজ থেকে অতীত। কারণ, আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কেনিয়াকে ৪৫ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে পাপুয়া নিউ গিনি। বিশ্বকাপের যেকোনো সংস্করণে এবারই প্রথম মূল পর্বে খেলার টিকিট পেল তারা।
দুবাইয়ে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে কেনিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ১১৮ রান তুলেছিল পাপুয়া নিউ গিনি। একপর্যায়ে ১৯ রানে ৬ উইকেট হারালেও শেষ দিকে নরমান ভানুয়ার ৫৪ রানে ভর করে ১০০–এর বেশি সংগ্রহ পায় দলটি। তাড়া করতে নেমে ৭৩ রানেই অলআউট হয় কেনিয়া। এ জয়ের পাশাপাশি বিশ্বকাপে জায়গা পেতে ভাগ্যেরও সহায়তা পেয়েছে পাপুয়া নিউ গিনি। আরেক ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডস ১২.৩ ওভারে জয় তুলে নিলে বিশ্বকাপে খেলা হতো না তাদের। কিন্তু সে ম্যাচে নেদারল্যান্ডস জয় পেতে ১৭ ওভার খেলে ফেলায় কপাল পোড়ে ডাচদের, বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পেয়ে যায় পাপুয়া নিউ গিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায়। পাপুয়া নিউ গিনিকে (পিএনজি) শুভেচ্ছা জানিয়ে আইসিসির টুইটার পেজে লেখা হয়, ‘ক্রিকেট পিএনজি বিশ্বকাপ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় যাবে। মাইটি ব্যারাজদের অভিনন্দন।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক পেসার ও ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপের টুইট, ‘পাপুয়া নিউ গিনির ২০২০ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাওয়া আধুনিক ক্রিকেটে ভালো লাগার গল্পগুলোর একটি।’ ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্র অশ্বিনের টুইট, ‘পিএনজি খেলবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে! খেলাটাকে বৈশ্বিকভাবে সম্প্রসারিত হতে দেখাটা দুর্দান্ত ব্যাপার।’