বিশ্বকাপে আফ্রিদির রেকর্ড ছুঁতে ২০৯ বল কম লাগল সাকিবের

পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে রেকর্ড ছুঁলেন সাকিবফাইল ছবি: আইসিসি

ওমানের বিপক্ষে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টি খেলাটা শুধু তরুণদের নয়। অর্থাৎ এ সংস্করণে শুধু তরুণেরাই ভালো করবে—ধারণাটা ভুল।

সাকিব সরাসরি বলেছিলেন, ‘আগে সবাই মনে করত, তরুণ ক্রিকেটাররাই টি-টোয়েন্টি ভালো খেলবে। দিন যত যাচ্ছে মনে হচ্ছেযারা বেশি অভিজ্ঞ তারাই বেশি ভালো করছে।’ এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স দেখলে সাকিবের কথায় ভুল ধরার সুযোগ নেই।

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের ম্যাচেও বাংলাদেশের হাল ধরতে হয়েছে অভিজ্ঞদের। ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষেও দৃশ্যটা পাল্টায়নি। এক সাকিব আল হাসানেই উতরে যাচ্ছে বাংলাদেশে।

ব্যাট-বলে এ দুই ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স করা সাকিব আজ পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে দারুণ এক রেকর্ডেরও দেখা পেলেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে শহীদ আফ্রিদির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ডে ভাগ এখন সাকিবেরও।

৪ উইকেট নেন সাকিব
ছবি: এএফপি

সাকিব আজ তিনে নেমে ৩ ছক্কায় ৩৭ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর তাঁর বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পাপুয়া নিউগিনি। ৪ ওভারে ৯ রানে ৪ উইকেট নেন এ অলরাউন্ডার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বোলিংয়ে এটাই সেরা পারফরম্যান্স সাকিবের। এর মধ্যে শেষ উইকেটটি দিয়ে আফ্রিদির রেকর্ডে ভাগ বসান তিনি।

পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটসম্যান হিরি হিরিকে উইকেটকিপার নুরুল হাসানের ক্যাচে পরিণত করেন সাকিব।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ নিয়ে সাকিবের উইকেটসংখ্যা দাঁড়াল ৩৯। ২৮ ম্যাচে ৩৯ উইকেট নিলেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার আফ্রিদি রেকর্ডটি গড়তে খেলেছেন ৩৪ ম্যাচ।

আফ্রিদির চেয়ে ৬ ম্যাচ কম খেলেই তাঁর রেকর্ডে ভাগ বসালেন সাকিব। বোলিংয়ে ওভারসংখ্যায়ও আফ্রিদির চেয়ে কম বল করে মাইলফলকটির দেখা পেলেন তিনি। আফ্রিদি ৩৯ উইকেট পেয়েছেন ১৩৫ ওভার বল করে। সাকিব ১০০.১ ওভারেই তাঁর পাশে বসলেন। অর্থাৎ ৩৪.৫ ওভার কম বল (২০৯ বল) করেছেন সাকিব। আর একটি উইকেট পেলেই আফ্রিদিকে ছাড়িয়ে এককভাবে রেকর্ডটা নিজের করে নেবেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফ্রিদি প্রতি ২০.৭ বলে একটি করে উইকেট নিয়েছেন। সাকিবের স্ট্রাইক রেট তাঁর চেয়ে বেশ ভালো—১৫.৪ বলে একটি উইকেট। বোলিং গড়েও আফ্রিদির (২৩.২৫) চেয়ে এগিয়ে সাকিব (১৬.৪১)। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির এই তালিকায় শীর্ষ পাঁচে সাকিব ও আফ্রিদির পর রয়েছেন যথাক্রমে লাসিথ মালিঙ্গা (৩১ ম্যাচে ৩৮ উইকেট), সাঈদ আজমল (২৩ ম্যাচে ৩৬ উইকেট) ও অজন্তা মেন্ডিস (২১ ম্যাচে ৩৫ উইকেট)।