বিরাট কোহলির জন্য অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতেন তিনি

ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলিছবি: টুইটার

টেস্টটি হওয়ার কথা ছিল গত বছর। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে শেষ টেস্ট ছিল সেটি। কিন্তু ভারতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সে টেস্ট স্থগিত হয়ে যায়। এক বছর পর কাল থেকে এজবাস্টনের মাঠে গড়াচ্ছে সেই বাতিল হওয়া টেস্ট।

এবার টেস্টের আগেই করোনা আক্রান্ত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট তিনি খেলতে পারবেন কি না, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। যদি না–ই খেলেন, তাহলে ভারতীয় দলকে নেতৃত্বে দেবেন কে? এই প্রশ্নটিই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। গত বছর ইংল্যান্ড সিরিজে ভারত খেলেছিল বিরাট কোহলির নেতৃত্বে। গত জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের পরপরই টেস্ট অধিনায়কত্ব স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেন কোহলি। তাহলে কী রোহিতের অনুপস্থিতিতে এজবাস্টন টেস্টে টস করার ভার আবারও বর্তাচ্ছে কোহলির ওপর!

রোহিত না খেললে দলে জেষ্ঠ্যতার নিয়ম মেনে টস করতে যাওয়ার কথা দুই ‘তরুণ তুর্কি’ যশপ্রীত বুমরা নয়তো ঋষভ পন্তের। লোকেশ রাহুলও চোটের কারণে এই টেস্টে নেই। তবে কি এই টেস্টের জন্য অধিনায়কত্ব দেওয়া হবে বিরাট কোহলিকে? ইংল্যান্ডের তারকা মঈন আলী মনে করেন, সেটি হলে মন্দ হয় না।

মঈন আলী চান এজবাস্টনে বিরাট কোহলি অধিনায়কত্ব করুক
ছবি: টুইটার

ইন্ডিয়া টুডেকে ইংলিশ অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে কোহলি অধিনায়ক ছিল। আমি হলে তাঁর জন্য অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতাম।’

তবে এ ক্ষেত্রে মঈন কোহলির ইচ্ছা–অনিচ্ছার ব্যাপারটিও মাথায় রাখছেন, ‘তাঁকে এই টেস্টে অধিনায়ক করা যেতেই পারে। তবে এটা ঠিক পুরো বিষয়টিই কোহলির ইচ্ছা–অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। সে এখন অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়ে অনেকটাই নির্ভার। এই অবস্থায় সে অধিনায়কত্ব আবার নিতে চাইবে কি না, এ নিয়ে সন্দেহ আছে। কোহলি নিশ্চয়ই ভেবেছে, সে আর টেস্টে অধিনায়কত্ব করবে না।’

মাঝখানে অবসর নিয়ে ফেলেছিলেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে। এখন আবারও ফিরতে চাচ্ছেন। এর কারণ যে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম সেটিও ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছেন তিনি, ‘বাজ (ম্যাককালামের ডাকনাম) আমাকে এক দিন ফোন করে বললেন, মঈন আমরা এখন থেকে যে ধরনের ক্রিকেট টেস্টে খেলব, সেটি তোমার ক্রিকেটের ধরনের সঙ্গে অনেকটাই যায়। সুতরাং তুমি ফিরে এসো।’

১ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টে ইংলিশদেরই এগিয়ে রাখতে চান মঈন, ‘গত বছর টেস্ট সিরিজটা পুরোপুরি হলে ভারত হয়তো ৩–১ ব্যবধানে জিতত, কিন্তু সম্প্রতি ইংল্যান্ড যে ক্রিকেট খেলছে, তাতে মনে হচ্ছে ভারত একটু পিছিয়েই থাকছে।’