>আগের চুক্তি শেষ। আগামী চার বছরের চুক্তি করার আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে কথা বলে নিচ্ছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। আজ বিসিবি কার্যালয়ে এসেছিল ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ঈদের আগেই জানিয়েছিল, তারা একে একে সব ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে বসবে। আগামী দিনে জমজমাট ও বিশৃঙ্খলামুক্ত বিপিএল আয়োজন করতে কী করণীয়, সেসব নিয়ে জানতে চাইবে। আজ বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে তাই বসেছিল ঢাকা ডায়নামাইটস, রাজশাহী কিংস ও খুলনা টাইটানস। বৈঠক শেষে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো জানিয়েছে বিসিবির সঙ্গে আজ তাদের কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ঢাকা
ঢাকা ডায়নামাইটসের একটি বিষয় নিয়েই আসলে হঠাৎ তুমুল আলোচনা। তাদের ‘আইকন’ সাকিব আল হাসান কদিন আগে ঘটা করে চুক্তি করেছে রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে। ঢাকা বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনি। সাকিবকে ঢাকা ধরে রাখবে, না তিনি রংপুরেই খেলবেন—বিষয়টি তাই এখনো পরিষ্কার নয়। ঢাকা ডায়নামাইটসের প্রধান নির্বাহী ওবায়েদ নিজাম অবশ্য বৈঠক শেষে দাবি করেছেন, আলোচনায় সাকিবের প্রসঙ্গ আসেনি। তবে তিনি বলেছেন, ‘আইকনদের নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, এবার সব নতুন করে শুরু হবে। আমাদের থেকে কিছু উপদেশ চেয়েছিল তারা, তা আমরা লিখে নিয়ে এসেছিলাম। তারা শুনেছে, দেখি কী হয়।’
খুলনা
খুলনার দাবি ছিল মূলত দুটি। সে দাবি দুটি কী, ফ্র্যাঞ্চাইজির স্বত্বাধিকারী কাজী এনাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘টুর্নামেন্ট টেকসই হোক। বছরের পর বছর অনেক দলের মালিক বদলায়। টুর্নামেন্ট কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে টেকসই করা যায়, সামনে ফ্র্যাঞ্চাইজিরও যেন আয় থাকে। আবার বিসিবির আয় না কমে। রাজস্ব শেয়ারের প্রসঙ্গ এসেছে। আর আগামী চার বছরের জন্য চুক্তি হচ্ছে নতুন করে। ড্রাফট, খেলোয়াড় ধরে রাখার নিয়ম কী হবে—সবার সঙ্গে আলোচনা করে, এক মত হয়ে নিয়মগুলো একবারে বলে দেওয়া। প্রতিবছর যেন নিয়ম না বদলায়। নিয়মগুলো স্বচ্ছ থাকতে হবে।’
এই দুটি দাবির বাইরেও খুলনা টাইটানস চাইছে এবার খুলনায় ম্যাচ খেলতে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে আরও একটি পরামর্শ দিয়েছেন কাজী এনাম, ‘আমরা পরামর্শ দিয়েছি খেলোয়াড় ধরে রাখার সংখ্যাটা বাড়ানো হোক। ৪-৫ জনের জায়গায় ৮-৯ জন করা। এতে অফ সিজনে ক্যাম্প করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। সারা বছর খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করতে পারবে।’
রাজশাহী
রাজশাহী আগ থেকেই বিপিএলের রাজস্ব বা আয়ের ভাগ দাবি করে আসছে। এখনো সেটি করছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো কীভাবে সমানভাবে আয়ের ভাগ পেতে পেরে সেটি নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে রাজশাহী। খুলনার মতো তারাও চায় বিপিএলের নিয়ম কদিন পর পর যেন না বদলায়। প্রথম সংস্করণ থেকে সবশেষ সংস্করণ—কতবার নিয়ম বদলেছে, সেটিও তারা জানিয়েছে। রাজশাহীর যুক্তি, চার বছরের চুক্তিতে যেন একই নিয়ম থাকে আর নিয়ম বদলালেও সেটি যেন আলোচনা করে নেওয়া হয়।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল কী বলে
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল অবশ্য কিছু এখনো চূড়ান্ত করেনি। এখনো তাদের আরও চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে বৈঠক বাকি। তবে গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার খেলোয়াড় ধরে রাখা নিয়ে বললেন, ‘এ বছরের আমাদের পরিকল্পনা হলো, নিলাম হবে। প্লেয়ার্স বাই ড্রাফট হবে, একদম নতুন করে হবে। খেলোয়াড় ধরে রাখার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করিনি। করলে আপনাদের জানানো হবে।’
নতুন করে যে নিয়মগুলো করা হবে সেটি সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে গভর্নিং কাউন্সিল। সাকিবের মতো যাঁদের চুক্তি এরই মধ্যে হয়ে গেছে সেটি নিয়ে পুরোনো উত্তরই পাওয়া গেল। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে থাকা বিসিবির পরিচালক মাহবুব আনাম বললেন, ‘খেলোয়াড় দলে নেওয়ার যে কাজ হয়েছে, তা আমরা স্বীকৃতি দিচ্ছি না, দিই না।’
এবারও হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলার নিয়মটা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। আগের মতোই খেলা হবে মাত্র তিনটা মাঠে।