বাবর ভুল থেকেই শিখুন, চান ইউনিস খান
শোয়েব আখতার তাঁকে বলছেন ‘পথ হারা গরু’। ওল্ড ট্রাফোর্ড ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাবর আজমকে নাকি ঠিক তেমনই মনে হচ্ছিল। চলতে চলতে যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন। এলোমেলো হয়ে গেছে সব বোধ। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পাকিস্তানের অধিনায়ককে মনে হচ্ছিল রীতিমতো অসহায়।
প্রথমে ব্যাটিং করে ১৯৫ রান করেও ম্যাচটা খুব সহজেই হেরেছে পাকিস্তান। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের বেধড়ক পিটুনিতে উড়ে গেছে পাকিস্তানি বোলাররা। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে বাবর যেন হতাশার মাত্রাটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। টেলিভিশনে বারবার দেখা গেছে তল খুঁজে না পাওয়া অধিনায়ককে একের পর এক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন কোচ মিসবাহ-উল-হক। দলের সিনিয়র খেলোয়াড়েরাও হতবুদ্ধি অধিনায়ককে যথাসাধ্য সাহায্যের চেষ্টা করে গেছেন। মোটকথা, অধিনায়ক হিসেবে সে ম্যাচে নিজের বিচার-বুদ্ধির ওপর ভরসা রাখার সাহস পাননি পাকিস্তানি তারকা।
‘বাবরের প্রতি আমার পরামর্শ অধিনায়ক হিসেবে সে যেন নিজেই সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্তটা ভুল হোক কিংবা সঠিক, বাবরের উচিত ভয় না পাওয়া। ভুল থেকেই তো মানুষকে শিখতে হয়।’ইউনিস খান
ভালো অধিনায়ক হতে গেলে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব জরুরি। শোয়েব আখতার যেমন এটি তাঁকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ঠিক তেমনি মনে করিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান দলের ব্যাটিং কোচ ইউনিস খানও। দলের বিপর্যয়ের মুখে সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারলে অধিনায়কের সঙ্গে যে সাধারণ কোনো খেলোয়াড়ের পার্থক্য থাকে না বাবর এখন এটা অনুধাবন করতে পারলেই হয়। ইউনিসও বলছেন সঠিক হোক কিংবা ভুল, অধিনায়ককে সব সময় নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হবে, ‘বাবরের প্রতি আমার পরামর্শ অধিনায়ক হিসেবে সে যেন নিজেই সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্তটা ভুল হোক কিংবা সঠিক, বাবরের উচিত ভয় না পাওয়া। ভুল থেকেই তো মানুষকে শিখতে হয়।’
ড্রেসিং রুম থেকে অধিনায়ক মিসবাহ’র নির্দেশনা অনেকেরই ভালো লাগেনি। ইনজামাম-উল-হক তো এর কড়া সমালোচনাই করেছেন। ইউনিস অবশ্য সে লাইনে যাননি। সেটি সম্ভবও নয় যেহেতু তিনিও টিম ম্যানেজমেন্টর অংশ। তবে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কও মনে করেন বাইরে থেকে কিংবা মাঠ থেকে যদি অধিনায়ককে অতিরিক্ত পরামর্শ দেওয়া হয়, সেটি তাঁর জন্য ক্ষতিকর, ‘মাঠ ও মাঠের বাইরে থেকে নির্দেশনা এলে সেটি অধিনায়কের জন্য কঠিন হয়ে যায়। তবে বাবরকে মাঠের বাইরে থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দলের ভালোর কথা চিন্তা করেই।’
অধিনায়ক হিসেবে সপ্তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন সেদিন। কিন্তু এরই মধ্যে সমালোচনাটা যেন একটু বেশিই হচ্ছে তাঁকে নিয়ে। অধিনায়কত্ব একটা সমস্যা। সাবেকেরা তাঁর ব্যাটিং নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। শোয়েব সমালোচনায় মুখর হয়েছেন তাঁর ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট নিয়ে। ৪৪ বলে ৫৬ রানের ইনিংসটি বাবর যথেষ্ট দ্রুততার সঙ্গে খেলতে পারেননি বলেই অভিমত তাঁর। তিনি মনে করেন বাবরের স্ট্রাইকরেট অবশ্যই বাড়ানো দরকার।