বাজিকরদের প্রতি কিসের 'দরদ' পিসিবির
পাকিস্তান ক্রিকেটে দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠা নতুন কিছু না। বহুবার এ নিয়ে কথা হয়েছে পিসিবিতে। সম্প্রতি উমর আকমল নিষিদ্ধ হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে পিসিবিকেই দোষারোপ করেছেন বোর্ডের সাবেক সভাপতি খালিদ মেহমুদ। তাঁর ভাষায়, বাজিকরদের প্রতি দরদ রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি)।
পিসিবির দুর্নীতিবিরোধী আইনের ২.৪.৪ ধারা ভঙ্গ করে তিন বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন আকমল। বাজিকরদের প্রস্তাব গোপন করেন তিনি। মেহমুদ বলেছেন, আকমলকে প্রস্তাব দেওয়ার সে বাজিকরের বিপক্ষে আইনি ব্যবস্থা নিক বোর্ড। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডেইলি এক্সপ্রেসকে মেহমুদ বলেন, ‘বাজিকরের প্রস্তাব গোপন করে নিষিদ্ধ হয়েছে উমর আকমল। তাহলে বাজিকরের বিপক্ষেও পিসিবির ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। বুঝি না, বাজিকরদের প্রতি পিসিবির কীসের এত দরদ। পিসিবির আইনি উপদেষ্টা তফাজুল রিজভির ব্যাখ্যাটা খুব অদ্ভুত। বাজিকরদের বিপক্ষে নাকি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা নেই। তাহলে পিসিবিতে কেউ চুরি করলে বোর্ড কি একই কথা বলবে? তারা পুলিশের কাছে যাবে এবং অভিযোগ দাখিল করবে। তাহলে বাজিকরদের বিপক্ষে কেন ফৌজদারি তদন্তের অনুরোধ করতে পারছে না পিসিবি?’
উমর নিষিদ্ধ হওয়ার পর পিসিবির আইনি উপদেষ্টা রিজভির তুমুল সমালোচনা করেন শোয়েব আখতার। তাঁকে ‘অদক্ষ’ এবং পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বিপক্ষে ব্যক্তিগত ক্ষোভ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন সাবেক এ পেসার। এতে শোয়েবকে ১০০ মিলিয়ন রুপির মানহানির আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন রিজভি। শোয়েব টুইটারে এ খবর জানিয়ে বলেছেন, ‘রিজভির আইনি নোটিশ পেয়েছি, যা মিথ্যা এবং সাজানো। নিজের মতামত থেকে আমি এক চুলও নড়ছি না।’
শোয়েবের কথার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ইউনিস খান, ‘শোয়েব তেতো সত্য বলেছে। এটার জন্য মেরুদন্ড লাগে। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের উন্নতিতে তাঁর কথার সঠিক মূল্যায়ন হওয়া উচিত। আমি শোয়েব আখতারের কথার সঙ্গে একমত।’
১৯৯৮ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৯৯ সালের জুলাই পর্যন্ত পিসিবি সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন খালিদ মেহমুদ। তাঁর মতে, বাজিকরদের যারা নিয়ন্ত্রণ করে, তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিত, ‘পিসিবির অফিশিয়ালরা যদি বাজিকরদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, তাহলে সেটি ভীষণ বিপজ্জনক। বাজিকরদের যারা নিয়ন্ত্রণ করে, তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিত। বাজিকরদের শাস্তি না দিয়ে শুধু ক্রিকেটারদের শাস্তি দেওয়াটা বোর্ডের ব্যর্থতা।’