বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ নিতে হেরাথ-ভেট্টোরির ‘ক্লাসে’ এজাজ প্যাটেল
ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, সাকিব আল হাসান, রঙ্গনা হেরাথ—বাঁহাতি স্পিনার হলে নিশ্চিতভাবেই তাঁদের বোলিংয়ে নজর রাখবেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে সফল তিন বাঁহাতি স্পিনার। আবার খেলা যখন বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষেই, তখনো এ তিনজনের অভিজ্ঞতা অমূল্য। বাংলাদেশ সফরে এজাজ প্যাটেল পাচ্ছেন এই তিনজনেরই ‘সান্নিধ্য’।
সাকিবের বিপক্ষে তো খেলছেনই, হেরাথ আছেন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে। আর ভেট্টোরি তো তাঁর দেশেরই কিংবদন্তি। হেরাথের সঙ্গে এরই মধ্যে টুকটাক কথা হয়েছে প্যাটেলের, আজ কথা বলবেন ভেট্টোরির সঙ্গেও।
বাংলাদেশ সফরে আসার আগে থেকেই এ কন্ডিশনে বোলিং করা নিয়ে বেশ রোমাঞ্চ ছিল প্যাটেলদের। প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ৬০ রানে গুটিয়ে গেলেও নিশ্চিতভাবেই স্পিনাররা উপভোগই করেছেন মিরপুরের উইকেট। ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন প্যাটেল। টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভার বোলিং করে নিউজিল্যান্ডের হয়ে এর চেয়ে কম রান দিয়েছেন একজনই—ভেট্টোরি। ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষেই হ্যামিল্টনে ৪ ওভারে ৬ রানে ৩ উইকেট নেন বাংলাদেশের সাবেক স্পিন বোলিং কোচ।
প্যাটেল বলছেন, হেরাথ-ভেট্টোরিকে তিনি অনুসরণ করেন আগে থেকেই, ‘রঙ্গনার সঙ্গে একটু কথাও হয়েছে আমার। আজ ড্যানের সঙ্গে কথা বলার কথা আছে। বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা নিয়েই মূলত কথা বলব। তার সঙ্গে কথা বলতে মুখিয়ে আছি।’
নিজের ক্যারিয়ারে ভেট্টোরি বাংলাদশকে ভুগিয়েছেন বেশ। এরপর কাজও করেছেন তাদের সঙ্গে। প্যাটেল মনে করেন, ভেট্টোরি তাঁকে সহায়তা করতে পারবেন, ‘বিশ্বজুড়ে অনেক ক্রিকেট খেলেছে সে। বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে চ্যালেঞ্জগুলো জানে সে। ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতির কথাও জানে। তার কাছ থেকে শিখতে পারব আশা করি, সে কীভাবে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। এসব কন্ডিশনে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে সে কিছু তথ্য দিতে পারে।’
প্রথম ম্যাচে বোলিং থেকেও অবশ্য শিখেছেন প্যাটেল। এর আগে অনুশীলন করলেও মাঠে নামার আগে কোনো কিছু নিয়েই নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই এমন কন্ডিশনে—সেটাও জানেন তিনি। প্রথম ম্যাচের শিক্ষা পরের ম্যাচে কাজে লাগাতে চান বলেও জানিয়েছেন প্যাটেল।
এমন উইকেটে বোলিংয়ের ব্যাপারটাও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি, ‘উইকেটে এমন সহায়তা থাকলে মূল ব্যাপারটা দাঁড়ায় লেংথ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে। যে বলটা বাঁক নেয় না, মাঝেমধ্যে সেটাই সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এটাও একটা চ্যালেঞ্জ। ব্যক্তিগতভাবে ম্যাচটা আমার জন্য ভালো গিয়েছে বোলিংয়ে। পুরো সিরিজে এটাই করতে চাই, আশা করি, আমরা ফল পাব।’
প্যাটেল বলছেন, এ কন্ডিশনে কীভাবে খেলতে হবে, সে সম্পর্কেও পরিষ্কার একটা ধারণা পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। এমন কন্ডিশনের পুরো ফায়দাও তুলতে চান তিনি, ‘স্পিনার হিসেবে এমন সহায়ক উইকেটে বোলিং করতে পারা সব সময়ই দারুণ। এটার পুরো সুবিধা আদায় করতে হবে। হয়তো (প্রথম ম্যাচে দলের) পরিস্থিতি আরেকটু ভিন্ন হলে আরও ভালো হতো। তবে এটাও বলতে হবে, এমন কন্ডিশনে খেলাটাও দারুণ একটা অভিজ্ঞতা।’