বাংলাদেশের অর্জন ধরে ফেলছে আফগানিস্তান!

ইহসানউল্লাহর অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংসে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছে আফগানিস্তানের। ছবি: আইসিসি
ইহসানউল্লাহর অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংসে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছে আফগানিস্তানের। ছবি: আইসিসি
>এবার আয়ারল্যান্ডে গিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে এল আফগানিস্তান, যা বিদেশের মাটিতে গত দুই বছরে আফগানদের চতুর্থ সিরিজ জয়! আফগান ক্রিকেট ধীরে ধীরে আকাশ ছোঁয়ার স্পর্ধা নিয়ে বেড়ে উঠছে

ভাগ্যিস, এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ জিতে এসেছে। না হলে তো বাংলাদেশ = আফগানিস্তান হয়ে যেত! পরশু আয়ারল্যান্ডের মাটিতে আরও একটি ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিল আফগানরা। যেটি বিদেশের মাটিতে তাদের চতুর্থ ওয়ানডে সিরিজ জয়। বাংলাদেশ বিদেশের মাটিতে সিরিজ জিতেছে ৫টি।

২০০৬ সালে কেনিয়াকে তাদের মাটিতে ৩-০–তে হারায় বাংলাদেশ। সেটি ছিল বিদেশে প্রথম সিরিজ জয়। এরপর ২০০৬-০৭ মৌসুমে জিম্বাবুয়েকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জয়। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুর্বল সেই দলের বিপক্ষে ৩-০। ওই বছরেই জিম্বাবুয়েতে সিরিজ জয় ৪-১-এ। দীর্ঘ ৯ বছর বিরতিতে আবার সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। দুবার করে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে আর অন্যবার কেনিয়ার মাটিতে এসেছে বাংলাদেশের এই ৫ সিরিজ জয়। তিনটি দল ছাড়া আর কোনো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ তাদের ডেরায় গিয়ে ট্রফি জিতে নিয়ে আসতে পারেনি।

বিদেশে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

স্বাগতিক

ব্যবধান

সাল

কেনিয়া

৩-০

২০০৬

জিম্বাবুয়ে

৩-১

২০০৬-০৭

ওয়েস্ট ইন্ডিজ

৩-০

২০০৯

জিম্বাবুয়ে

৪-১

২০০৯

ওয়েস্ট ইন্ডিজ

২-১

২০১৮

আফগানদের জয়গুলোও অপেক্ষাকৃত সমশক্তির দলগুলোর বিপক্ষেই। ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ টানা দুই মৌসুমে জিম্বাবুয়েতে গিয়ে তারা স্বাগতিকদের ৩-২ ব্যবধানে দুবার হারিয়ে এসেছে। কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলকে টেস্ট খেলুড়ে নয় এমন দলের টানা দুবার প্রতিপক্ষের হোম ভেন্যুতে দুবার হারানোর প্রথম কীর্তি ছিল সেটি। এর মাঝে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ সালে তারা সিরিজ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে।
এবার আয়ারল্যান্ডে গিয়ে জিতে এল ২-১-এ। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে এসেছে এই চার জয়। যা আফগানদের ক্রিকেটের মানচিত্রে দ্রুত উত্থানের সাক্ষীও।

বিদেশে আফগানিস্তানের সিরিজ জয়

স্বাগতিক

ব্যবধান

সাল

জিম্বাবুয়ে

৩-২

২০১৫-১৬

স্কটল্যান্ড

২-১

২০১৬

জিম্বাবুয়ে

৩-২

২০১৬-১৭

আয়ারল্যান্ড

২-১

২০১৮