২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বাংলাদেশকে ভোগালেন আদিল-ওকস

রশিদ-ওকস লিদ এনে দিলেন ইংল্যান্ডকে।- এএফপি।
রশিদ-ওকস লিদ এনে দিলেন ইংল্যান্ডকে।- এএফপি।

টেস্ট ক্রিকেট সেশন ধরে ধরে খেলতে হয়। প্রথম দিনে বাংলাদেশের ব্যাটিংধস সেটা একবার মনে করিয়ে দিয়েছিল। সেটি যেন তাঁরা অতি সহজে ভুলে না যান, সেটাও নিশ্চিত করলেন আদিল রশিদ ও ক্রিস ওকস। ৯ ও ১০ নম্বরে নামা এই দুজনের ব্যাটে চড়ে মিরপুর টেস্টের নিয়ন্ত্রণ এখন ইংল্যান্ডের কাছে। ইংল্যান্ড লিড নিয়েছে ২৪ রানের।

১৪৪ রানেই নেই ৮ উইকেট। সেটা ১৬৩ রানে থাকা অবস্থায় মধ্যাহ্নবিরতিতে গেল ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ তখন লিডের স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু কে জানত ওকস-রশিদ এভাবে মোড় ঘুরিয়ে দেবেন ম্যাচের! শেষ পর্যন্ত মিরাজের ষষ্ঠ শিকার হয়ে যখন আউট হলেন ওকস, ইংল্যান্ডের রান ২৪৩। ওকস করেছেন ১২২ বলে ৪৬, রশিদ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে গেছেন ১০৭ বলে ৪৪ রান করে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে নবম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটিও (৯৯) হয়ে গেছে এর আগেই। ওকস ফিরতেই লড়াইটা শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ডের। পরের ওভারেই ফিরলেন স্টিভেন ফিন, তাইজুলের বলে মুশফিকের কাছে ক্যাচ দিয়ে। ইংল্যান্ডের রান ২৪৪, লিড ২৪ রানের।

অথচ মিরাজ-তাইজুলের স্পিনে সকালের সেশনেই ৫ উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। শুরুটা মঈন আলীকে দিয়ে। দিনের ১২তম বলেই মেহেদী হাসান মিরাজের বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড ইংলিশ অলরাউন্ডার। একটু পরেই ফিরলেন আরেক অলরাউন্ডার, স্টোকস। মঈন তো তবু দুই অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন, স্টোকস ফিরলেন শূন্য হাতেই, তাইজুলের বলে। এর মাঝেই ব্যক্তিগত ১৯ রানে মাহমুদউল্লাহর সুবাদে জীবন পেলেন রুট।

রুট ও জনি বেয়ারস্টোর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইংল্যান্ড। দুজন মিলে ৪৫ রান যোগ করেন এ জুটিতে। যখনই মনে হচ্ছিল ম্যাচ থেকে ছিটকে যাচ্ছে বাংলাদেশ, তখনই অধিনায়ক ফিরিয়ে আনলেন মিরাজকে। এই অফ স্পিনারের দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম বলেই আউট বেয়ারস্টো! ওই ওভারেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট পেয়ে যেতে পারতেন মিরাজ। অভিষিক্ত জাফর আনসারির ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গেলেও বলটি ধরতে পারেননি মুশফিকুর রহিম।

বিরতির খানিক পরই আনসারিকে আউট করে দিলেন মিরাজ। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অভিষেকের পর প্রথম দুই টেস্টেই ৫ উইকেট পাওয়ার রেকর্ড গড়লেন স্পেশালিস্ট অফ স্পিনার বনে যাওয়া মিরাজ। বাংলাদেশের পথে তবু কাটা হয়েছিলেন রুট। ৪ রান পরেই তাঁকে (৫৬) এলবিডব্লিউ করে সে ঝামেলাও চুকালেন তাইজুল ইসলাম। তখনো অবশ্য বোঝা যায়নি, ওকস-রশিদ এত বড় প্রতিরোধ গড়বেন!