বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে পাওয়া অর্থ শৈশবের ক্লাবকে উপহার বোল্টের
শুরুটা করেছিলেন তিনি, শেষটাও করেছেন তিনি। চার বলের মধ্যে টপ অর্ডারের দুজনকে ফিরিয়ে দিয়ে ধস নামিয়েছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। ৩ বলের মধ্যে শেষ ২ উইকেট তুলে নিয়ে সে ধসের পূর্ণতাও এনে দিয়েছেন এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার। বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটা আজ তাই ট্রেন্টের হয়ে থাকল। স্বল্প ব্যাপ্তির ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বোল্টকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।
ম্যাচসেরার পুরস্কার হিসেবে বোল্টকে ৫০০ ডলার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে আজ। সেটা অবশ্য নিজের কাছে রাখেননি নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার। নিজের বেড়ে ওঠার সঙ্গী, নিজ শহরের ক্লাব ওটুমোটাই ক্যাডেটসকে দান করে দিয়েছেন নিজের ম্যাচসেরা হয়ে পাওয়া অর্থ।
আজ ডানেডিনে ২৭ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন বোল্ট। এই বাঁহাতি পেসারের সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা মিলিয়ে বাংলাদেশ মাত্র ১৩১ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংসজুড়েই অস্বস্তিতে ছিল বাংলাদেশ দল। তাই প্রায় ৪২ ওভার খেলেও মাত্র ৩.১৩ রানরেটে এগিয়েছেন তামিমরা। সে রান তাড়া করতে নেমে রীতিমতো বলগা হরিণ ছুটিয়েছিলেন মার্টিন গাপটিল ও হেনরি নিকোলসরা। অভিষিক্ত মেহেদী হাসানের কিপটে বোলিং ম্যাচটার স্থায়িত্ব বাড়িয়েছে। তবু ১৭২ বল হাতে রেখেই ম্যাচ শেষ করেছে স্বাগতিক দল।
এমন এক ম্যাচে মনে রাখার মতো কিছুই ঘটেনি। বরং বোল্টই ম্যাচ শেষে একটু অন্য রকম কিছুর জন্ম দিলেন। ম্যাচ শেষে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, ‘২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ট্রেন্ট বোল্টই এই ম্যাচের ম্যান অব দ্য ম্যাচ। বোল্ট এই ৫০০ ডলার তাঁর শহরের ক্লাব ওটুমোটাই ক্যাডেটসকে দান করে দিয়েছেন।’
টাওরাঙ্গা শহরের এই ক্লাবেই ক্যারিয়ারের শুরু বোল্টের। ২০০৬ সালে এই শহরের ক্রিকেটেই অনন্য এক কীর্তি গড়েছিলেন বোল্ট। ১৭ বছর বয়সী বোল্ট আঞ্চলিক ফাইনালে প্রতিপক্ষের সাত উইকেট তুলে নিয়েছেন। এর মধ্যে ছিল দুটি হ্যাটট্রিক!
বোল্ট ছাড়াও ওটুমোটাই ক্যাডেটস থেকে আরও একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডেতে শহীদ আফ্রিদির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙা কোরি অ্যান্ডারসনকেও নিজেদের ক্লাবের অ্যালামনাই বলে দাবি করে এই ক্লাব।