বাংলাদেশ সফর দিয়েই তাঁর ২৭ বছরে প্রথম
রঞ্জন মাদুগালে ম্যাচ রেফারি হিসেবে কাজ করছেন ১৯৯৩ সালে। ২৭ বছরে ১৯৩টি টেস্টে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক এই অধিনায়ক। নিয়মের কারণে কখনোই নিজ দেশে কোনো টেস্ট ম্যাচে দায়িত্ব পালন করা হয়নি তাঁর। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়েই সে সুযোগটা হতে যাচ্ছে তাঁর।
করোনার কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চলছে দেশে দেশে। সে কারণেই আইসিসি স্থানীয় ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারদের দিয়ে টেস্ট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে। টেস্ট ম্যাচে সাধারণত নিরপেক্ষ আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিরা দায়িত্ব পালন করেন। ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজে ম্যাচ রেফারি ছিলেন ক্রিস ব্রড। বাংলাদেশকে উপলক্ষ করে মাদুগালেরও সেই অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশকে দিয়ে আরও এক শ্রীলঙ্কান প্রথমবারের মতো নিজ দেশে টেস্ট পরিচালনা করার সুযোগ পাচ্ছেন। কুমার ধর্মসেনা বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
মাদুগালেকে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা মস্তিষ্ক বলা হয়ে থাকে। ১৯৮২ সালে তিনি তাঁর দেশের অভিষেক টেস্ট খেলেছেন। তবে ক্যারিয়ার খুব দীর্ঘ হয়নি তাঁর খেলেছেন মাত্র ২৯ টেস্ট আর ৬৩টি ওয়ানডে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত উইলস এশিয়া কাপ ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকায় তিনি খেলেন তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি। টেস্টে তাঁর আছে একটি সেঞ্চুরি ও ৭টি ফিফটি।
মাত্র ২৯ বছর বয়সে করপোরেট ক্যারিয়ারে মনোনিবেশ করার জন্যই খেলা ছেড়ে দেন তিনি। পরে নির্বাচক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। লঙ্কান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা নির্বাচকও বলা হয় তাঁকে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কান দল যে নির্বাচকেরা তৈরি করেছিলেন, তিনি তাঁদের একজন।
মাদুগালেকে আইসিসির অন্যতম শ্রদ্ধাভাজন ম্যাচ রেফারিই বলা হয়। এক সময় ক্লাইভ লয়েড, মাইক প্রক্টর ও গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথদের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি আইসিসির ম্যাচ রেফারি প্যানেলের প্রধান হিসেবে।