বাংলাদেশ ম্যাচের আগে কুমারা–চামিরাদের নিয়ে ভাসের গর্ব
শ্রীলঙ্কা দলে আছেন মহীশ তিকশানা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। বাংলাদেশ দলে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান। আজকের বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে তাঁদের নিয়েই বেশি কথা হচ্ছে। খেলা হবে শারজার স্পিনবান্ধব উইকেটে। এ কারণেই আলোচনায় দুই দলের স্পিনাররা। তবে এ ম্যাচের আগে শ্রীলঙ্কার সাবেক ফাস্ট বোলার চামিন্দা ভাস সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন আরও তিন খেলোয়াড়ের কথা। সেই তিনজন শ্রীলঙ্কার পেসার লাহিরু কুমারা, দুষ্মন্ত চামিরা ও চামিকা করুনারত্নে।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে এরই মধ্যে এই তিন পেসারের বোলিং দেখেছে ক্রিকেট–বিশ্ব। কুমারা ও চামিরা নিয়মিতই ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করে যাচ্ছেন। করুনারত্নেও গতিটা কখনো কখনো ১৪০-এর ওপরে তুলছেন। সব মিলিয়ে এই তিন পেসারকে নিয়ে বাংলাদেশের ম্যাচের আগে গর্ব করছেন ভাস। অনেকেই মনে করছেন, শারজার স্পিনিং উইকেটে শ্রীলঙ্কার এ তিন পেসারও ভোগাতে পারেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।
প্রথম পর্বের তিন ম্যাচে কুমারা ৫.৪২ গড়ে নিয়েছেন ৭ উইকেট। কিপ্টেমির দিক থেকেও তিনি কম যাননি, ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৩.৬১ করে। চামিরা তিন ম্যাচে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তাঁর ইকোনমিটা অবশ্য একটু বেশি ৫.৩৩। আর করুনারত্নে ওভারপ্রতি ৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। বাংলাদেশ ম্যাচের আগে এ তিনজনকে নিয়ে ভাস বলেছেন, ‘তিনজনই ১৪০ কিলোমিটারের ওপরে বল করছে। দুজন বল করছে ১৪৫ কিলোমিটারে। চামিকা করুনারত্নে তুলনামূলক কম গতির। তবে তিনজনের বোলিং দেখে খুব ভালো লাগছে।’
শ্রীলঙ্কার এ তিন পেসারকে এভাবে গড়ে তুলেছেন ভাসই। তিনজনের মধ্যে কুমারা শ্রীলঙ্কার সাদা বলের ক্রিকেটের দলে এসেছেন একটু পরে। প্রথম যখন তিনি দলে ঢোকেন, গতি থাকলেও বোলিংটা ছিল একটু এলোমেলো। তবে এখন তিনি আর দশজন ফাস্ট বোলারের মতোই নিখুঁত বোলিং করছেন। এর সঙ্গে তূণে নতুন তির হিসেবে যোগ করেছেন ভয়ংকর ইয়র্কার। কুমারাকে নিয়ে ভাস বলেছেন, ‘লাহিরু পুলে ছিল, কিন্তু ১৫ জনের দলে ছিল না। ওর দক্ষতা বাড়াতে আমরা অনেক কাজ করেছি। কিছু বিষয় ঠিক করে নেওয়ার জন্য সেও খুব মরিয়া ছিল। তার যে প্রতিভা, সে অনুযায়ী টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান খুব বেশি ভালো ছিল না। তাকে ধন্যবাদ যে সবকিছু ঠিক করে নিতে পেরেছে।’
বিশ্বকাপ শুরুর আগে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা বলেছিলেন, প্রথম পর্বে তুলনামূলক ছোট দলগুলোর বিপক্ষে এ তিনজনের গতি বেশ কাজে লাগবে। এর কারণও ব্যাখ্যা করেছিলেন তিনি, ‘সহযোগী সদস্য দেশগুলোর খেলোয়াড়েরা বেশি গতির বল খুব একটা খেলে না। তাই গতি তাদের ভড়কে দেব।’ প্রথম পর্বের জন্য করা শানাকার এ অনুমান কাজে লেগেছে। সুপার টুয়েলভ বা এরপরও কি এই তিন পেসারের গতি শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে দিতে পারবে? ভাসের তেমনই বিশ্বাস, ‘আমি মনে করি পুরো টুর্নামেন্টেই এটা (তিন পেসার গতি আর দক্ষতা) ভালোভাবেই কাজে আসবে।’
কে জানে, বাংলাদেশের বিপক্ষে এই তিন পেসার কী করতে পারেন!