বাংলাদেশ চিন্তাও করেনি হারবে
চট্টগ্রাম টেস্টে চতুর্থ দিন শেষেও জয়ের সুবাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আজ শেষ পর্যন্ত অবিশ্বাস্যভাবে টেস্টটা ৩ উইকেটে হেরে বসেছেন মুমিনুল হকরা। জয়ের জন্য এশিয়ার মাটিতে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়তে হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সেটিই করে দেখিয়েছে ক্যারিবীয়রা। ম্যাচটি যে হারতে পারে, এমনটা কখনোই ভাবেননি বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। ম্যাচ শেষে এমনটাই জানিয়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল।
জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৩৯৫। ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতে নিয়েছে, এমনটাই ধরে নিয়েছিলেন প্রায় সবাই। ৩৯৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করে সফরকারীরা ম্যাচটি জিতবে, ভাবতে পারেননি মুমিনুলও, ‘আসলেই অবিশ্বাস্য। কিন্তু এটাই খেলা। ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য অনেক কিছুই হয়ে যায়। প্রত্যাশায় ছিল না এমন কিছু হবে। আমার কাছে মনে হয় বোলাররা ভালো জায়গায় বল করতে পারেনি। ওদের দুই ব্যাটসম্যান খুব ভালো ব্যাটিং করেছে।’
আজ সকালেও বাংলাদেশের পক্ষে বাজি ছিল সবার। কিন্তু দুপুর গড়ানোর পর থেকেই ম্যাচের রং বদলাতে থাকে। দিনের প্রথম সেশনে কখনো মনে হয়েছে ম্যাচটি হারবে বাংলাদেশ? এমন প্রশ্নের জবাবে মুমিনুলের জবাব, ‘কোনো সময়ই আমার কাছে মনে হয়নি। গত চার দিন আমরা দাপট দেখিয়েছি। আজ শেষের দিকে ম্যাচটা হেরে গেছি। আমি চিন্তাও করিনি শেষ দিকে ম্যাচটা হেরে যাব।’
বাংলাদেশের হারের কারণটা সবারই জানা—অভিষিক্ত কাইল মেয়ার্সের অতিমানবীয় ব্যাটিং। চতুর্থ ইনিংসেও ২১০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আবার অন্যদিকে বাংলাদেশের বোলারদের ব্যর্থতাও এতে প্রভাব ফেলেছে। অধিনায়কের চোখে দলের ব্যর্থতার কারণ কী? দায়টা পুরো দলের ওপর দিচ্ছেন মুমিনুল, ‘যখন দল হারবে, তখন নির্দিষ্ট করে দোষ দিতে পারবেন না। দল হারা মানে সবাই হারা, দল জেতা মানে সবাই জেতা। দল যখন হেরেছে, সবাই একসঙ্গে হেরেছি।’
বাংলাদেশের ব্যাটিং-বোলিং উভয় বিভাগের প্রাণ সাকিব আল হাসান। কিন্তু চোটের কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং-বোলিং করতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে সাকিবের অনুপস্থিতিই দলকে ভোগাল কি না। সাকিবের অভাববোধ করার কথা স্বীকার করেছেন টেস্ট অধিনায়ক, ‘সাকিব ভাই থাকলে বোলিং অনেক গোছানো হতো। যেহেতু সিনিয়র বোলার, সিনিয়র ব্যাটসম্যান, সবাইকে আগলে রাখতে পারতেন। তাঁর অভাববোধ করেছি, বিশেষ করে বোলিংয়ে।’