স্বাগত!
প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে বড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। আজ দিনের প্রথম ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়েছে স্কটল্যান্ড। ফলে ওমানের বিপক্ষে ম্যাচে এখন জয়ের বিকল্প নেই মাহমুদউল্লাহর দলের সামনে। মাসকাটের আল-আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস কিছুক্ষণের মধ্যেই।
প্রথম আলোর সরাসরি আপডেটে আপনাকে স্বাগত!
টস
টসে জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ একাদশ
বাদ পড়েছেন আগের ম্যাচে লিটন দাসের সঙ্গে ওপেন করা সৌম্য সরকার। দলে ফিরেছেন বাঁহাতি ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন একটিই।
একাদশ
লিটন দাস, মোহাম্মদ নাঈম, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান।
শুরুতে চাপে নাঈম
অফস্টাম্প ও এর বাইরের চ্যানেল ধরে বোলিং করে গেছেন বিলাল খান। তবে শেষ বলে একটা সিঙ্গেল নিতে পেরেছেন নাঈম। এর আগে অবশ্য দুই দিকে দুইটি ওয়াইড করেছেন বিলাল। শুরুটা খুব একটা ইতিবাচক হয়নি বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ ৩/০, ১ ওভার।
বাঁচলেন লিটন
কলিমউল্লাহর অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা প্রায় দিয়েই ফেলেছিলে লিটন। আম্পায়ার আহসান রাজা আউটও দিয়েছিলেন। তবে সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ করে বেঁচে গেলেন লিটন, আল্ট্রা-এজে ছিল না কোনো স্পাইক। পরের বলে নিয়েছেন ডাবলস, শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে নিজের কাছে রেখেছেন স্ট্রাইক।
বাংলাদেশ ৭/০, ২ ওভার।
লিটন বাঁচলেন, তবে বাঁচলেন না
আগের ওভারে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছিলেন। এ ওভারে আরেকবার বাঁচলেন স্কয়ার লেগে কাশ্যপ প্রজাপতি মোটামুটি সহজ ক্যাচ ফেলে দেওয়ায়। তবে লিটনকে ক্রিজে ধরে রাখতে যথেষ্ট হলো না সেটিও। বিলালের ইয়র্কার মিস করে এলবিডব্লু হয়ে ফিরলেন লিটন। ওমান প্রথম উইকেটটা পেল রিভিউ নিয়েই। ৪ রানে পড়েছিল লিটনের ক্যাচ, তিনি আউট হলেন ৭ বলে ৬ রান করেই।
বাংলাদেশ ১১/১, ৩ ওভার।
নাঈমের ব্যাটেই প্রথম (এবং দ্বিতীয়) বাউন্ডারি
প্রথম ১২ বলে ৩ রান। মোহাম্মদ নাঈম ধুঁকছিলেন। আক্রমণ করবেন না কী করবেন, যেন বুঝে উঠতে পারছিলেন সেটাই। কলিমউল্লাহর ওপর এরপর অবশ্য চড়াও হলেন এ বাঁহাতি। প্রথমে পয়েন্ট দিয়ে চারের পরের বলে লং-অন দিয়ে মারলেন ছয়। পরের ২ বল অবশ্য ডট দিয়েছেন আবারও।
বাংলাদেশ ২১/১, ৪ ওভার।
আগে এসে দ্রুত ফিরে গেলেন মেহেদী
তিনে পাঠানো হয়েছিল মেহেদী হাসানকে। তবে বাংলাদেশকে শুরুর চাপ থেকে উদ্ধার করতে পারলেন না তিনি। ফায়াজ বাটের নেওয়ার দুর্দান্ত ফিরতি ক্যাচে ফিরতে হলো মেহেদীকে। টেনে মারতে গিয়েছিলেন মেহেদী, তবে লেগসাইডে খেলার চেষ্টা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে তাঁর। নিজের বলে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন ফায়াজ। বাংলাদেশ হারিয়েছে দ্বিতীয় উইকেট। মেহেদী ফিরেছেন ৩ বল খেলে কোনো রান না করেই।
পাওয়ার প্লে শেষ
দুইটি চার, একটি ছয়। প্রথম পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের অবস্থা এমনই বিবর্ণ। একদিকে এখন পর্যন্ত টিকে আছেন নাঈম, তবে ওই দুই বাউন্ডারির আগে-পরে স্বস্তিতে আছেন বলে মনে হয়নি। অন্যদিকে সাকিব নেমে এখন পর্যন্ত মেরেছেন একটি চার।
বাংলাদেশ ২৯/২, ৬ ওভার।
ক্যাচের বদলে ছয়
ওমানের ফিল্ডিং পিচ্ছিল ছিল আগের ম্যাচেও। সেটারই খেসারত আজও দিচ্ছে তারা। লিটনের পর এবার বাঁচলেন নাঈমও। এক্সট্রা কাভারে অনেকটা দৌড়ে এসেও ক্যাচটা ঠিকঠাক নিতে পারেননি যতীন্দর সিং। নাঈম আউট হননি, উলটো সে শটে পেয়ে গেছেন ছয়। ১৮ রানে আউট হতে পারতেন বাংলাদেশ ওপেনার, এখনো অক্ষত তিনি।
দ্বিতীয় উইকেট পাওয়া হয়নি ফায়াজের।
ওহ, ওমান!
নাঈম বাঁচলেন আবারও। এবার ক্যাচটা ছিল আরও সহজ। মোহাম্মদ নাদীমের বলে মিড-অনে সরাসরি প্রজাপতির হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন নাঈম। তবে ম্যাচে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ক্যাচ ফেললেন প্রজাপতি। ১৮ রানে একবার জীবন পাওয়া নাঈম দ্বিতীয় জীবন পেলেন ২৬ রানে।
বাংলাদেশ ৪৫/২, ৮ ওভার।
চার বের করলেন সাকিব
দশম ওভারে কলিমুল্লাহর দ্বিতীয় বলটি অফ স্টাম্পের দিকে একটু সরে এসে শর্ট ফাইন লেগ দিয়ে চার মারেন সাকিব। তাঁর ব্যাটিং দেখে বোঝা যাচ্ছে উইকেটে থিতু হওয়ার পর রান বের করার চেষ্টা করছেন। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৬৩।
ফিফটি জুটি
আগের ম্যাচে মুশফিকের সঙ্গে বাংলাদেশকে উদ্ধার করার কাজটা ঠিক করে হয়ে ওঠেনি সাকিবের। আজও তাঁর কাঁধে প্রায় একই ধরনের দায়িত্ব। নাঈমকে নিয়ে আপাতত ফিফটি জুটি হলো তাঁর। দুজন মিলে ৫০ রান যোগ করেছেন ৩৯ বলে।
১৭ রানের ওভার
বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল এমন একটা ওভারই। মোহাম্মদ নাদিমের ওপর চড়াও হয়েছেন সাকিব-নাঈম দুজনই। সাকিব মেরেছেন দারুণ দুটি চার- প্রথমে সামনে এসে মিড-অফ দিয়ে, এরপর স্কয়ার লেগ দিয়ে। এরপর শর্ট বল আগেভাগেই ধরে ফেলে কাউ কর্নার দিয়ে দারুণ টাইমিংয়ে ছয় মেরেছেন নাঈম। এ ওভারে উঠেছে ১৭ রান।
বাংলাদেশ ৮৯/২, ১২ ওভার।
বাংলাদেশের ১০০
বোলিংয়ে এসেছেন আগের দিন ওমানের অন্যতম নায়ক অধিনায়ক জিশান মাকসুদ। নাঈমের একটা রিভার্স সুইপের পর জিশানের প্রথম ওভারে এসেছে ১০ রান। নাঈম এগোচ্ছেন ফিফটির দিকে, চল্লিশ পেরিয়েছেন সাকিবও। পরের ওভারে বাংলাদেশ ছুঁয়ে ফেলেছে ১০০ রান।
বাংলাদেশ ১০০/২, ১৩.১ ওভার।
ওহ, সাকিব!
ভুলটা যদি থেকে থাকে, তাহলে সাকিবেরই। রান-আউট হয়ে ফিরলেন তিনি। পয়েন্টের দিকে খেলে সিঙ্গেল নিতে গিয়েছিলেন, তবে শেষের দিকে গিয়ে আশাই ছেড়ে দিলেন তিনি! আকিব ইলিয়াস ভুল করেননি, সরাসরি থ্রো-তে ভেঙেছেন নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প। ফিল্ডিংয়ে বাজে একটা দিন কাটানো ওমান অবশেষে পেল সান্ত্বনা। আর ২৯ বলে ৪২ রানের ইনিংসের শেষটা সাকিবের হলো ‘করুণ’। ভাঙল ৫৩ বলে ৮০ রানের জুটি।
নাঈম : ফিফটি, নুরুল : আউট
চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেছেন নাঈম। ৪৩ বলে এ মাইলফলক পূর্ণ হয়েছে তাঁর। জিশানের সে ওভারের শেষ বলেই ক্যাচ দিয়েছেন নুরুল হাসান। তুলে মেরেছিলেন, টাইমিংটাও ভালোই হয়েছিল। তবে লং-অফে ধরা পড়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ ১১২/৪, ১৫ ওভার।
এখনো নেই মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক
কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগেই। তবে ব্যাটিং অর্ডারে বড় কোনো পরিবর্তন হবে না, বলেছিলেন সেটাও। আজ অবশ্য ৪ উইকেট যাওয়ার পরও আসেননি মাহমুদউল্লাহ বা মুশফিকুর রহিম। ছয় নম্বরে এসেছেন আফিফ হোসেনই।
পারলেন না আফিফও
মেহেদী, নুরুল, আফিফ- ব্যাটিং অর্ডারে আগে পাঠানো হলেও তিনজনের কেউই রাখতে পারলেন না অমন অবদান। সর্বশেষ ৫ বলে ১ রান করেই ফিরলেন আফিফ। কলিমউল্লাহর বলে এক্সট্রা কাভারে যতীন্দর সিংয়ের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন আফিফ। ১২০ রানে বাংলাদেশ হারিয়েছে পঞ্চম উইকেট, ইনিংসে বাকি ২৩টি বল।
নাঈম ৬৪ (৫০)
শুরুতে ধুঁকেছেন, মাঝে নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছেন ভালোভাবেই। তবে শেষটা হতাশারই হলো নাঈমের। শেষে এসে সেভাবে গিয়ার বদলাতে পারলেন না বাংলাদেশ ওপেনার। আফিফের পর কলিমউল্লাহর বলে ক্যাচ দিয়েছেন নাঈমও, একাদশে ফেরার ম্যাচে ৫০ বলে করেছেন ৬৪ রান।
এরপর আট নম্বরে নেমেই কাট করে চার মেরেছেন মুশফিক।
বাংলাদেশ ১২৭/৬, ১৭ ওভার।
আটে মুশফিক এবং বেঙ্গালুরু-স্মৃতি
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এ নিয়ে অষ্টম বার আট বা এর নিচে নামলেন মুশফিকুর রহিম। সর্বশেষ এ সংস্করণে এত নিচে খেলেছেন তিনি ২০১৬ সালে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই ভারতের বিপক্ষে বেঙ্গালুরুর সেই ‘বিখ্যাত’ ম্যাচে আট নম্বরে নেমে ৬ বলে ১১ রান করেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ ১৩৭/৬, ১৮ ওভার।
১৯তম ওভার : ৯ রান, ২ উইকেট
প্রথমে বড় শট খেলতে গেলেন, পরে ফায়াজের বলের গতি কমিয়ে আনা দেখে ঠেলতে চাইলেন থার্ডম্যানে। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়লেন উইকেটকিপারের হাতে। ৫ বছর পর আট নম্বরে নেমে মুশফিকুর রহিম ফিরলেন ৪ বলে ৬ রান করে। ঠিক পরের বলে আবারও গতি কমিয়ে এনেছেন ফায়াজ। এবার বড় শটের চেষ্টায় লং-অফে ধরা পড়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ক্যাচ নিয়েছেন যতীন্দর সিং।
ফায়াজ দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সামনে। ফায়াজকে টানা তিন উইকেট নিতে দেননি মাহমুদউল্লাহ। শেষ বলে বাংলাদেশ অধিনায়ক মেরেছেন চার।
১৫৩ রানেই থামল বাংলাদেশ
৩ বল বাকি থাকতে বিলালের বলে বোল্ড হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ অধিনায়ক করেছেন ১০ বলে ১৭ রান। শেষ বলে গিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান তুলেছেন ক্যাচ। এর আগে বাঁচা-মরার ম্যাচে বাংলাদেশ তুলেছে ১৫৩ রান।
লিটনের সঙ্গে ওপেনিংয়ে এসেছিলেন নাঈম। বাংলাদেশ অবশ্য আগের মতোই শুরুতে ধুঁকেছে। লিটন-মেহেদীর উইকেটের পর সাকিবের সংগে নাঈমের ৫৩ বলের ৮২ রানের জুটি বাংলাদেশকে একটু স্বস্তি দিয়েছে। সাকিবের ২৯ বলে ৪২ রানের ইনিংসের অপমৃত্যু ঘটেছে রান-আউট হয়ে। তবে সে জুটির সুবিধা আদায় করতে পারেননি নিচের দিকের ব্যাটসম্যানরা। আফিফ, নুরুল বা নিচের দিকে মুশফিক তেমন কিছু করতে পারেননি।
বাংলাদেশ অবশ্য থামতে পারত আরও আগেই। প্রথম দিকে ওমান করেছে বেশ পিচ্ছিল ফিল্ডিং। তিনটি সহজ ক্যাচ ছেড়েছে স্বাগতিকরা। তেমন না হলে ওমান বোলারদের দিনটা আরও ভালোই হতো। শেষ পর্যন্ত ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন বিলাল ও ফায়াজ। কলিমউল্লাহ নিয়েছেন ২ উইকেট।
সুপার টুয়েলভে যাওয়ার স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে এ ম্যাচে জিততেই হবে বাংলাদেশকে।
তাসকিনের ১২ রানের ওভারের পর মোস্তাফিজের আঘাত
তাসকিনের করা প্রথম ওভারে উঠেছে ১২ রান।
দ্বিতীয় ওভার করতে এসেই ব্রেকথ্রু দিয়েছেন মোস্তাফিজ। প্রথম বলটা লেগ সাইডে ওয়াইড করলেও পরের বলটা করেছেন ঠিকঠাক লাইনে। আড়াআড়ি ঘোরাতে গিয়ে মিস করে গেছেন আকিব ইলিয়াস। আহসান রাজার দেওয়া এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত রিভিউ করেছিলেন সঙ্গে সঙ্গেই, তবে লাভ হয়নি। ব্যাটে লাগার আগে প্যাডে আঘাত করেছিল বলটা, যেটা পড়েছিল লেগস্টাম্প লাইনের একটু ভেতরে। হক-আইও দেখিয়েছে তিনটা লাল। রাজার দারুণ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ পেয়েছে প্রথম উইকেট। ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে ওমান।
২ ওভার, ৬ ওয়াইড
প্রথম ওভারে তাসকিন করেছেন একটি ওয়াইড। তবে পরের ওভারে মোস্তাফিজ তাঁকে ছাড়িয়ে গেছেন অনেকটাই। নিজের প্রথম ওভারে সফল হলেও মোস্তাফিজ করেছেন পাঁচটি ওয়াইড। মানে প্রথম ২ ওভারেই বাংলাদেশের দুই পেসার করলেন অতিরিক্ত ১ ওভার।
এক ওভারে দুই সুযোগ
প্রথমে রান-আউটের সুযোগ ছিল, তবে সাকিবের থ্রো নন-স্ট্রাইক প্রান্তে ঠিকঠাক ধরতে পারেননি সাইফউদ্দিন। এরপর যতীন্দর সিং ক্যাচ তুলেছিলেন, শর্ট থার্ডম্যানে বাঁদিকে ঝাঁপিয়েও ধরতে পারেননি মোস্তাফিজ।
ওমান ২৬/১, ৩ ওভার।
মিস, ছয়, ক্যাচ- এক ওভারে সব
ক্যাচটা নেওয়ার সুযোগ ছিল মোস্তাফিজসহ চারজনের। নিতে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। সহজ ক্যাচটা ফেলে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মোস্তাফিজ দারুণ স্লোয়ারে ধোঁকা দিয়েছিলেন যতীন্দর সিংকে, তবে ১০ রান জীবন পেয়েছেন তিনি।
মোস্তাফিজ অবশ্য সফল হয়েছেন ঠিকই। অফস্টাম্পের বেশ বাইরের বলে খোঁচা দিয়েছেন কাশ্যপ প্রজাপতি, এর আগে স্কয়ার লেগ দিয়ে ছয় মেরেছিলেন যিনি। যতীন্দরকে না ফেরাতে পারলেও প্রজাপতিকে ঠিকই ফেরালেন মোস্তাফিজ।
ওমান দ্বিতীয় উইকেট হারাল ৪৭ রানে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ওই ৪৭ রানই তুলেছে ওমান।
উত্তাপ টের পাচ্ছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও
ইনিংসের মাঝপথে...
১০ ওভার, ৭০ রান। শেষ ১০ ওভারে প্রয়োজন ৮৪ রান। ১০ রানে জীবন পাওয়া যতীন্দর সিং টিকে আছেন এখনো, ব্যাটিং করছেন ৩০ রানে। অধিনায়ক জিশান মাকসুদের সঙ্গে তাঁর জুটি এগোচ্ছে। বাংলাদেশ পারবে ঘুরে দাঁড়াতে?
ব্রেক থ্রু দিলেন মেহেদী
প্রয়োজনীয় রান আর বলের ব্যবধান একটু বেশি। ওমান অধিনায়ক জিশান খেলতে গেলেন বড় শট। মেহেদীর অফস্টাম্পের বাইরের বল টেনে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে মোস্তাফিজের ভালো ক্যাচে পরিণত হলেন তিনি, ১৬ বলে ১০ রান করার পর। মেহেদী বাংলাদেশকে দিলেন গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু।
যতীন্দরকে ফেরালেন সাকিব
১০ রানে জীবন পেয়েছিলেন যতীন্দর। মোস্তাফিজের বলে সহজ ক্যাচ ছেড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। অবশেষে মাহমুদউল্লাহ একটু স্বস্তি পেতে পারেন, যদিও দ্বিতীয় জীবনে আরও ৩০ রান যোগ করেছেন যতীন্দর। বোলিংয়ে ফিরে বাংলাদেশকে আরেকটা উইকেট এনে দিলেন সাকিব। টাইমিং ঠিকঠাক হলেও স্কয়ার লেগে লিটনের হাতে ধরা পড়েছেন যতীন্দর।
ওমান ৯০/৪, ১৩ ওভার।
এবার সাইফউদ্দিনের আঘাত
বাড়ছে প্রয়োজনীয় রান-রেট, এবার আঘাত করলেন সাইফউদ্দিন। সন্দীপ গৌড় অফস্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন এক্সট্রা কাভারে। ওমান হারিয়েছে পঞ্চম উইকেট।
ওমানকে আরেকটু ডুবিয়ে শেষ করলেন সাকিব
পরপর দুই বল, সাকিবের বলে মাহমুদউল্লাহর দুই ক্যাচে জয়ের আরও কাছে বাংলাদেশ। আয়ান খানের পর লং-অফে ক্যাচ দিয়েছেন নাসিম খুশি। ওমান হারিয়েছে ৭ম উইকেট। শেষ ১৮ বলে স্বাগতিকদের প্রয়োজন ৪৭ রান। সাকিব ৪ ওভারের স্পেল শেষ করলেন ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে।
শেষে চমক নুরুলের
জয়ের কাছে এসে শরীরী ভাষাও বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের। এর সর্বশেষ দৃষ্টান্ত রাখলেন নুরুল হাসান। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দারুন একটা ক্যাচ নিয়েছেন বাংলাদেশ উইকেটকিপার। মোস্তাফিজের বলে জোরের ওপর ব্যাট চালিয়ে নুরুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন কলিমউল্লাহ।
এক বল পর মোস্তাফিজ নিয়েছেন নিজের চতুর্থ উইকেট, এবার এক্সট্রা কাভারে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ফায়াজ বাট।
ওমান ১১২/৯, ১৮ ওভার।
২৬ রানে জয় বাংলাদেশের
চোখ রাঙিয়েছেন যতীন্দর সিং। এর আগে কাশ্যপ প্রজাপতি। ক্যাচ মিস চাপ বাড়িয়েছে আরও। তবে সময়মতো ব্রেক থ্রু দিয়েছেন সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান। আঁটসাঁট বোলিং করেছেন মেহেদী হাসান। শেষ পর্যন্ত ওমান থেমেছে আগে ভাগেই। ২৬ রানের জয়ে সুপার টুয়েলভে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রেখেছে মাহমুদউল্লাহর দল।