বদলা নিতে চাইবে দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্দশা দেখে নিউজিল্যান্ডের নিশ্চয় মাঠে নামার জন্য তর সইছে না। ক্রিকেটে, বিশেষ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অবশ্য যেকোনো কিছুই হতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকা চাইবে গত বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের হারের বদলা নিতে।
শুরুর হারগুলোর পাশাপাশি বিশ্বকাপে ডি ভিলিয়ার্সের খেলতে চাওয়া নিয়ে অযথা বিতর্ক দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ অভিযানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ২০১৮ সালের আইপিএলের পরে ডি ভিলিয়ার্স আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়। কিন্তু বিশ্বকাপের স্কোয়াড নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে দলের বিশ্বকাপ অভিযানে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। নির্বাচক কমিটি অবশ্য সেটা প্রত্যাখ্যান করে দেখিয়ে দিয়েছে খেলাটা ব্যক্তির চেয়ে বড়। কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বাজে শুরুর পর ডি ভিলিয়ার্সের খবরটা শিরোনাম হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা দলকে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
তাদের ব্যাটিং জ্বলে ওঠেনি আর ইংলিশ কন্ডিশন আর পিচ থেকে সাহায্য না পাওয়ায় বোলারদের থেকেও কোনো সমর্থন পায়নি। হাশিম আমলা এখনো জফরা আর্চারের বাউন্সার তার হেলমেটে লাগার আঘাত থেকে পুরোপুরি বের হয়ে আসতে পারেনি। হাশিম আমলার মতো ব্যাটসম্যান এ মুহূর্তে রানের জন্য যেভাবে সংগ্রাম করছে, সেটা দৃষ্টিসুখকর নয়। শুধুই একটা ডট বল নয় বরং উইকেট নেওয়ার উপায় হিসেবে বাউন্সারের ফিরে আসাটা সামনের পায়ে খেলা অনেক ব্যাটসম্যানের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। তবে কিছু আম্পায়ার আবার বাউন্সারের সংখ্যা তাঁদের মতো করে ঠিক করছেন। এ জন্য কিছু পেসার ওভারে ৩-৪টা বাউন্সার দিয়েও বেঁচে যাচ্ছে। আবার কিছু আম্পায়ার হেলমেটের কাছাকাছি দিয়ে গেলেও ওয়াইড দিচ্ছেন। বোলারদের যদি ক্রিজে সাদা চিহ্ন দিয়ে বলে দেওয়া হয় এর মধ্য দিয়েই তাকে বল করতে হবে তাহলে বাউন্সারের জন্যও এমন কিছু থাকা উচিত। অন্যান্য সাধারণ ডেলিভারির মতো বাউন্সারও বৈধ ডেলিভারি হওয়া উচিত যদি–না সেটা ব্যাটসম্যানের নাগালের বাইরে দিয়ে যায়।
নিউজিল্যান্ড বাউন্সারকে অস্ত্র হিসেবে খুব একটা ব্যবহার করে না। বোল্ট ও হেনরি এমন দুজন বোলার, যারা ভালো গতির সঙ্গে বল সুইংও করাতে পারে। বিশেষ করে বোল্টের শুরুর ওভারগুলোতে ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য বল ভেতরে ঢোকানোর সক্ষমতা ভয়ংকর হতে পারে। জিমি নিশামের মধ্যে নিউজিল্যান্ড এমন একজনকে পেয়েছে যে ভালো কিছু ওভার করার পাশাপাশি ব্যাট হাতে বলকে অনেক দূরে নিয়ে যেতে পারে। কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলরের মতো ব্যাটসম্যানদের কাছে দলের প্রত্যাশা অনেক।
অস্ট্রেলিয়া, ভারত আর ইংল্যান্ডের ম্যাচগুলো নিয়ে বেশি মাতামাতি হওয়ায় এই দুই দল নিয়েই আলোচনা কম। এটা নিউজিল্যান্ডের জন্য ভালো। কারণ সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো থেকে আমরা এটাই বুঝতে পারছি, কারও নজরে না পড়ে করা আক্রমণটাই সেরা আক্রমণ।