বছর ঘুরতেই সেই নিউজিল্যান্ড আর ইংল্যান্ড যাচ্ছে পাকিস্তানে
পাকিস্তানের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই আবার শঙ্কায় ফেলে দিয়েছিল সময়টা!
সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে হঠাৎই নিরাপত্তাশঙ্কাকে কারণ দেখিয়ে নিউজিল্যান্ড ফিরে গেল পাকিস্তান থেকে, তার কিছুদিন পর ইংল্যান্ড দল জানিয়ে দিল, তারাও পূর্বনির্ধারিত পাকিস্তান সফর বাতিল করছে। বড় অস্থির একটা সময় তখন পাকিস্তানের ক্রিকেটে।
কিন্তু কী দারুণভাবেই না সেটি পেছনে ফেলে এসেছেন বাবর আজমরা। মাঠে দলটা এখন অনেক ধারাবাহিক, নিজেদের মাটিতে একের পর ম্যাচও খেলে চলেছে। এমনই দিনবদল যে, বছরখানেক আগে পাকিস্তানের মাটিতে সফর বাতিল করা নিউজিল্যান্ড আর ইংল্যান্ডই আবার পাকিস্তানে যাওয়া নিশ্চিত হয়েছে।
গতকাল পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড আগামী ১২ মাসে পাকিস্তানের ছেলেদের ও মেয়েদের দলের সামনে কী কী টুর্নামেন্ট ও সিরিজ আছে, সেটির তালিকা ঘোষণা করেছে। বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহিন শাহ আফ্রিদিদের জন্য দারুণ ব্যস্ত এক সূচিই অপেক্ষায়। ব্যস্ততার মধ্যেই নিউজিল্যান্ড আর ইংল্যান্ডকে আতিথ্য দেবে পাকিস্তান।
এর মধ্যে ইংল্যান্ড শুধু একবার নয়, এক মাসের ব্যবধানে দুবার যাবে পাকিস্তানে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে সাতটি টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলবে একবার পাকিস্তান যাবে ইংলিশরা, নভেম্বর-ডিসেম্বরে আবার যাবে তিনটি টেস্ট খেলতে।
দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডের সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড দল পাকিস্তানে যাবে আগামী ডিসেম্বরে। এই দুই দলের বাইরে পাকিস্তানের মাটিতে দুবার আলাদা দুটি সিরিজ খেলতে যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। জুনে যাবে তিনটি ওয়ানডে খেলতে, আগামী বছরের জানুয়ারিতে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে।
সব মিলিয়ে ব্যস্ত এই ১২ মাসে পাকিস্তানের ছেলেদের দল ৭টি টেস্ট, ১৭টি ওয়ানডে ও অন্তত ২৫টি টি-টোয়েন্টি খেলবে। অন্তত কেন? এ সময়ে যে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও আছে। সেখানে পাকিস্তানের গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোকেই এখানে হিসাবে নেওয়া হয়েছে। এরপর কতটুকু যাবেন বাবর-রিজওয়ানরা, সে তো এখন বলার উপায় নেই!
আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ ৭টি টেস্ট হবে তিন দলের বিপক্ষে—ইংল্যান্ড (৩ টেস্ট) ও নিউজিল্যান্ডের (২ টেস্ট) বাইরে অন্য দেশটি শ্রীলঙ্কা (২ টেস্ট)। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজটি তাদের মাটিতে গিয়ে খেলবে পাকিস্তান।
১৭ ওয়ানডের ১২টি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ—ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে, এর বাইরে দুটি সিরিজ শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসের মাটিতে। বলা বাহুল্য, চারটি সিরিজের প্রতিটিতেই ম্যাচ তিনটি করে।