বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ম্যাচে পাকিস্তানি নয়?
>বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে এশিয়া একাদশ ও বিশ্ব একাদশের মধ্যে দুটি প্রীতি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আয়োজন করবে বিসিবি। এ দুই ম্যাচে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ডাকা হবে না—এমন বার্তা দিচ্ছে ভারত।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী বছরের মার্চে ঢাকায় দুটি প্রীতি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজন করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এশিয়া একাদশ ও বিশ্ব একাদশের ম্যাচ দুটিকে ‘অফিশিয়াল’ মর্যাদাও দিয়েছে আইসিসি। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এশিয়া একাদশ দলে নাকি জায়গা পাবেন না কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটার। অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, সে রকম কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত তাদের নেই।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএসের খবর, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তপ্ত সম্পর্ক চলছে, তাতে এ দুই দেশের মধ্যে যেকোনো একটি দেশের খেলোয়াড় নিয়ে এশিয়া একাদশ গড়া হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আইএনএসের এমন ধারণার পেছনে কাজ করছে বিসিসিআইয়ের যুগ্ম সচিব জয়েশ জর্জের একটি মন্তব্য। তিনিই জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠেয় প্রীতি ম্যাচ দুটিতে কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। তাঁর কথা, ‘এশিয়া একাদশে কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটার থাকবেন না, এটাই জানি পেয়েছি আমরা। আর তাই দুই দেশের ক্রিকেটাররা একসঙ্গে খেলবেন, এমন কোনো সম্ভাবনা নেই। আর এশিয়া একাদশে (ভারত থেকে) কোন পাঁচ ক্রিকেটার থাকবেন, তা ঠিক করবেন সৌরভ গাঙ্গুলী।’
কিন্তু বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের রাখা হবে না, এমন কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নেই। তবে ম্যাচ দুটির সূচি পাকিস্তান সুপার লিগের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের আসাটা অনিশ্চিত হতেও পারে, ‘কোন খেলোয়াড়েরা আসবেন, সেটি নির্ভর করছে ওই সময় কাদের পাওয়া যাবে তার ওপর। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ডাকা হবে না, বিষয়টি তেমন নয়। তবে পিএসএলের কারণে তাঁদের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তো আছেই।’ আগামী ২০ ফেব্রয়ারি শুরু হয়ে পিএসএল শেষ হওয়ার কথা ২২ মার্চ। ঢাকায় প্রীতি ম্যাচ দুটিও মার্চেই হওয়ার কথা।
দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত–পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্পর্ক বহু আগে থেকেই খারাপ। সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রধান এহসান মানির এক মন্তব্য আগুনে ঘি ঢেলেছে। ভারতের নিরাপত্তাব্যবস্থা পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ বলে মন্তব্য করেছেন মানি। পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য নিরাপদ দাবি করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রমাণ করেছি পাকিস্তান নিরাপদ। কেউ না এলে তাদের প্রমাণ করতে হবে (দেশটি) অনিরাপদ। এ মুহূর্তে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের নিরাপত্তাঝুঁকি বেশি। শ্রীলঙ্কার সফল টেস্ট সিরিজের পর পাকিস্তানের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে কারও মনে সন্দেহ থাকা উচিত নয়।’