ফিরেই সিংহাসনে সাকিব
নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই সাকিব আল হাসানকে সুখবর দিল আইসিসি। আইসিসির সর্বশেষ ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন বাংলাদেশের সাকিব। আজ দুপুরে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে বাঁহাতি অলরাউন্ডার ৩৭৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আছেন সবার ওপরে।
সাকিব সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন দেড় বছর আগে। গত বিশ্বকাপে লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিই তাঁর শেষ ওয়ানডে। অক্টোবরে নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে তো মাঠের বাইরেই। এই সময়ে ওয়ানডেতে তাঁকে টপকে যেতে পারেননি আর কোনো অলরাউন্ডার। নিষেধাজ্ঞায় পড়ার আগে সাকিবের রেটিং পয়েন্ট ছিল ৩৯৪। এ বছরের মার্চে তিনটা ওয়ানডে হাতছাড়া হওয়ায় এখন সেটি নেমে এসেছে ৩৭৩–এ। তবুও তিনি আছেন তাঁর জায়গাতেই। দুইয়ে থাকা আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীর রেটিং পয়েন্ট ৩০১, তৃতীয় ক্রিস ওকসের ২৮১, চার নম্বরে থাকা বেন স্টোকসের রেটিং পয়েন্ট ২৭৬।
২০১৯ বিশ্বকাপের পর টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে ২০ ওভারের ক্রিকেটেই মনোযোগী ছিল বেশিরভাগ দল। এরপর করোনা মহামারিতে খেলাই বন্ধ থাকল লম্বা সময়। এ কারণেই সাকিবের সঙ্গে ব্যবধানটা বড় থেকে গেছে প্রতিদ্বন্দ্বী খেলোয়াড়দের। কাল পাকিস্তান–জিম্বাবুয়ে ওয়ানডে সিরিজের পর আইসিসি র্যাঙ্কিং হালনাগাদ করার পর দেখা গেল সাকিব আগের মতো শীর্ষেই আছেন। টেস্ট অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে জেসন হোল্ডার, তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৪৪৭। টি–টোয়েন্টি অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে নবী। সামনে কোনো টেস্ট ও টি–টোয়েন্টি সিরিজের পর আইসিসি র্যাঙ্কিং হালনাগাদ করলে পরিষ্কার হবে এই দুই সংস্করণে সাকিবের অবস্থান কোথায়।
নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ায় সাকিব হয়তো এ মাসে অনুষ্ঠেয় বঙ্গবন্ধু টি–টোয়েন্টি কাপ দিয়েই মাঠে ফিরবেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাঁর ঢাকায় আসার কথা আগামীকাল রাত ২টায়। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ও লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) খেলার লক্ষ্যে সাকিব প্রায় ছয় মাস পর ঢাকায় ফিরেছিলেন সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। দেশে ফিরেই নিজেকে প্রস্তুত করতে তিনি চলে যান বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি)। সেখানে প্রায় এক মাস চলেছে তাঁর কঠোর অনুশীলন। অনুশীলনে তাঁকে সহায়তা করেছিলেন শৈশবের দুই কোচ নাজমুল আবেদীন ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
নিষেধাজ্ঞা কেটে গেছে, অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়েও পেলেন বড় সুখবর—আত্মবিশ্বাস নিয়েই ক্রিকেটে ফিরতে পারছেন সাকিব।