প্রীতির হাসি মুছে দিলেন আম্পায়ার
২১ বলে ৫৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন মার্কাস স্টয়নিস। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে স্টয়নিসের এমন ইনিংসেই কাল জীবন পেয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জেতায় অবধারিতভাবেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন স্টয়নিস। কিন্তু এমন ব্যাটিংয়েও বীরেন্দর শেবাগের মন কাড়তে পারেননি স্টয়নিস। তাঁর চোখে ভুল লোককে ম্যাচ সেরার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
শেবাগের চোখে কালকে আইপিএলের ম্যাচ সেরা ছিলেন অন্য কেউ। টুইটে লিখেছেন, ‘আমি ম্যান অব দ্য ম্যাচটা মানতে পারছি না। এ ম্যাচে যে আম্পায়ার এক রান কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকেই পুরস্কার দেওয়া উচিত ছিল। এটা শর্ট রান ছিল না এবং এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’
শেবাগের দৃষ্টিতে ম্যাচ পালটে দেওয়া সে ঘটনা দ্বিতীয় ইনিংসের ১৯ তম ওভারে ঘটেছে। ১৫৮ রানের লক্ষ্যে নামা পাঞ্জাব বেশ ভালোমতোই ম্যাচে ছিল। ৮৯ রানের ইনিংস খেলা মায়াঙ্ক আগারওয়াল একটি শটে দৌড়ে দুই রান নিয়েছিলেন। কিন্তু মাঠের আম্পায়ার নিতিন মেনন এর মনে হয়েছে ক্রিস জর্ডান প্রান্ত বদলের সময় ক্রিজে ব্যাট রাখেননি এবং এর ফলে শর্ট রান ধরে নিয়ে এক রান কমিয়ে দিয়েছিলেন।
এভাবে এক রান কমে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৭ রানে থেমে যায় পাঞ্জাব। টাই হওয়া ম্যাচে সুপার ওভারে হেরে বসে তারা। ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া ঘটনা তো বটেই। মাঝে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের সঙ্গে জড়িত থাকা শেবাগের তাই রাগ হওয়ারই কথা।
অতীত সম্পর্কের কারণেই খেপেছেন শেবাগ, আর প্রীতি জিনতার তো রেগে টগবগ করে ফোটার কথা। সেটাই হয়েছে, এমন ভুলে দল হেরে যাওয়ায় সব ক্ষোভ ঝেড়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও আইপিএল কর্তৃপক্ষের ওপর। এ যুগে এসেও তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা না নেওয়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জিনতা। টুইটারে লিখেছেন, ‘একটা মহামারির মধ্যেও আগ্রহ নিয়ে সফর করেছি। ৬ দিন কোয়ারেন্টিনে থেকেছি। হাসিমুখেই পাঁচটা কোভিড টেস্ট দিয়েছি। কিন্তু এই একটা শর্ট রানই সবচেয়ে বড় ধাক্কা দিল। তথ্যপ্রযুক্তি রেখে লাভ কী যদি সেটা ব্যবহারই না হয়? বিসিসিআইয়ের উচিত নতুন আইন চালু করা। প্রতি বছর এটা চলতে পারে না।’
শুধু হেরেছেন বলেই যে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন এমন নয়। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের যৌথ মালিক প্রীতির দাবি, খেলার ভবিষ্যতের জন্য নতুন আইন ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে ভাবা উচিত ভারতীয় বোর্ডের। আরেকটি টুইটে লিখেছেন, ‘হারি বা জিতি, আমি সব সময় সেটা মেনে নেওয়াতে বিশ্বাসী। আমি খেলার চেতনায় বিশ্বাস করি। কিন্তু ভবিষ্যতে সবার ভালোর জন্যই নিয়ম বদলানোর কথা তোলা গুরুত্বপূর্ণ। অতীতেও এমন হয়েছে এবং এ থেকে সরে আসা দরকার। বরাবরের মতোই আশা নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি।’