আরও একবার একটুর কষ্ট পেতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। ৬ বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে গিয়েও শিরোপার স্বাদ পেল না নিউজিল্যান্ড। সদ্য সমাপ্ত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনালে ওঠার আগপর্যন্ত নিউজিল্যান্ড হেরেছিল শুধু পাকিস্তানের কাছে। সুপার টুয়েলভের বাকি সব ম্যাচেই আধিপত্য বিস্তার করে জয় পেয়েছে তারা। দুর্দান্ত বোলিং করে ভারতের মতো দলকে আটকে দিয়েছে মাত্র ১১০ রানে।
সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন জিমি নিশাম ও ড্যারিল মিচেল। কিন্তু ফাইনালে এসে যেন খেলতে ভুলে গিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। ব্যাটিংয়ে অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন ছাড়া জ্বলে উঠতে পারেননি কেউই। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের সামনে কিউই বোলাররা করলেন একদমই সাদামাটা বোলিং। ফাইনাল খেলায় নিউজিল্যান্ডের এমন ছন্দপতন চোখে লেগেছে সাবেক নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের।
ফাইনাল খেলতে নামার সময় নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষা পছন্দ হয়নি ম্যাককালামের, ‘আমি এটা বলতে চাই না যে নিউজিল্যান্ড ছুরি হাতে একটা বন্দুকযুদ্ধে গেছে। আমি বলব যে আমরা পিস্তলই নিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু গুলি করিনি। আমরা একটু ভীতও ছিলাম। সুযোগটা হাতছাড়া করলাম, আমরা যে গুলিগুলো নিয়েছিলাম, সেগুলো ছুড়িনি।’
নিউজিল্যান্ডকে সব সংস্করণেই নেতৃত্ব দেওয়া এই অধিনায়ক মনে করেন আরেকটু দ্রুতগতিতে রান তোলা উচিত ছিল নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের, ‘আমি গাপটিলের কাছ থেকে আরেকটু ভালো ইনিংস আশা করেছিলাম। সে ফাইনালে খোলসবন্দী হয়ে ২৮ রান করেছে ৩৫ বলে, যেটা ভালো দেখায়নি। ওর ইনিংসটা ভালোমতো খেয়াল করলে দেখবেন ও প্রথম ১৬ রান করে ১৫ বলে, কিন্তু পরের ১২ রান করতে খরচ করে ফেলেছে ২০ বল। যে সময়ে ওর রানের গতি বাড়ানোর কথা ছিল, সে সময়ে তা না করে দলের শ্বাস নেওয়াই কঠিন করে তুলেছে ও। এই ইনিংসই আমাদের সেদিনের ব্যাটিং স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলে।’
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছেই হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ছিলেন তখনকার নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়ক। তিনি মনে করেন, উইলিয়ামসনদের উচিত ছিল অস্ট্রেলিয়ানদের বিরুদ্ধে আরেকটু আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলা, ‘যখন আপনি অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হন, তখন আপনাকে ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকি নিয়েই ওদের বিরুদ্ধে জেতার চেষ্টা করতে হবে। কারণ, ওরা জয়টা আপনার হাতে তুলে দেবে না। এমন পরিস্থিতিতে আমি আমাদের দলকে আরেকটু আগ্রাসী দেখতে চেয়েছিলাম।’