পাকিস্তান ভারতের কাছে পাচ্ছে ৫৯১ কোটি টাকা!
আইনি লড়াইয়ে বিসিসিআইকে হারানোর সুবাস পাচ্ছে পিসিবি। এই লড়াই জিতলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৭০ মিলিয়ন ডলার পাবে পিসিবি
ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেটীয় দ্বৈরথ এখন কালেভদ্রে দেখা যায়। তারপরও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আইসিসির বিভিন্ন টুর্নামেন্টে যে কয়েকবার দেখা হয়েছে দুই দলের অধিকাংশ ম্যাচে শক্তিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ছাপিয়ে গেছে ভারত। তবে আইনি লড়াইয়ে হয়তো না। ক্রিকেটীয় ময়দানের বাইরে আদালতে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের যে লড়াই চলছে সেখানে পিসিবি জয় তুলে নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে।
ক্রিকেটে ‘তিন মোড়ল’-এর রাজত্বকালে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি (এমওইউ) সই করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সেই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২০১৫-২০২৩ সময়ের মধ্যে ছয়টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল ভারত-পাকিস্তানের। এর মধ্যে চারটি সিরিজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানের মাটিতে। কিন্তু বিসিসিআইয়ের অসম্মতির কারণে একটি সিরিজও মাঠে গড়ায়নি।
রাজনৈতিক জটিলতার জন্য সরকারের অনুমতি নেই—সিরিজ না খেলার কারণ হিসেবে এই অজুহাত দেখিয়েছিল বিসিসিআই। এতেই জটিলতার সৃষ্টি হয় এবং সিরিজ মাঠে না গড়ানোর ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করে পিসিবি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আইনি এ লড়াইয়ে জয়ী হয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বোর্ডের কাছ থেকে ৭০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৯১ কোটি টাকা) পাওয়ার সুবাস পাচ্ছে পিসিবি।
কারণ, পিসিবির অভিযোগের জবাবে বিসিসিআই কোনো শক্ত কারণ দেখাতে পারেনি। আইসিসি এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আয়োজিত টুর্নামেন্টে ঠিকই পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে ভারত। তখন সরকারের আপত্তি না ওঠায় দ্বিপক্ষীয় সিরিজে রাজনৈতিক বৈরিতার অজুহাত ধোপে টিকছে না। অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিন দিনের শুনানিতে এই আইনি সমস্যার রায় দেবে আইসিসির বিরোধ নিরসন কমিটি।